Shadow

জলঢাকায় রাস্তায় যানজট, পথচারীদের জনদূর্ভোগের সীমা নেই।

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি নীলফামারীর জলঢাকা পৌরশহর এখন যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে যানজট। ফলে পথচারীদের জনদুর্ভোগের সীমা নেই। অন্য দিকে ফুটপাত দখল করে দোকান সাজিয়েছে ব‍্যাবসায়িরা। বাইপাস রাস্তা না থাকায় পৌরশহরের প্রধান সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন ডালিয়া, পাটগ্রাম, বুড়িমারি, চিলাহাটি ও বাংলাবান্দা এ তিনটি স্থলবন্দর হতে পণ্যবাহী ট্রাক ডে কোর্স নাইট কোর্স ছাড়াও ডোমার, ডিমলা, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও থেকে দেশের দক্ষিণের বিভিন্ন প্রান্তে শতশত ভারী যানবাহন চলাচল করে।পৌর শহরের উপরে দিয়ে যাওয়া এ ব্যস্ততম সড়কের দুপাশে রিক্সা/ভ্যান ও অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকাসহ ফুটপাতে দোকানপাট গড়ে উঠায় সড়কে যানজট লেগেই থাকছে। সম্প্রতি শহরে সড়কের একাংশ প্রস্থ বাড়ানো হলেও তা যেনো কোনো কাজেই আসছে না।শহরের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে টোল আদায় সহ সড়কের উপরে এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকা রিক্সা/ভ্যান, সিএনজি ও অটোরিকশার নির্ধারিত কোনো স্ট্যান্ড বা পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি মুহুর্তে যানজটের সৃষ্টি হয়। ব‍্যাবসায়িরা ফুটপাতে বিভিন্ন জিনিস পত্র রাখায় সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পথচারীদের চলাচলেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এবিষয়ে কয়েকজন পথচারী জানায়, বর্তমানে মানুষের পাশাপাশি গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যাওয়ায় দিনদিন যানজটও বাড়ছে। পৌরশহরে সড়কের একদিকে ফুটপাত থাকলেও তা প্রায় চলে গেছে ব্যবসায়িদের দখলে। সড়কের দু’পাশে পথচারীদের জন্য চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে এমন জনদুর্ভোগে পড়তে হতো না।বিশেষ করে সন্ধ্যার পর দুরপাল্লার বাস দিয়ে ভরে যায় পৌরশহরের প্রধান সড়ক এবং তা সামাল দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। এ চিত্র দেখা যায় বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। অবিলম্বে মানুষের এ দুর্ভোগ লাঘবে যানজট মুক্ত করে চারলেন সড়কের দাবি জানায় জলঢাকাবাসি।যানজট নিরসন ও শহর উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু বলেছেন, উন্নয়নের অংশ হিসেবে বাইপাস সড়ক নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং মানুষের চলাচলের জন্য ফুটপাত ও বাজার উন্নয়নের সঙ্গে পার্কিং ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।