নীলফামারী প্রতিনিধি ll নীলফামারীর জলঢাকায় চলতি কাল-বৈশাখী ঝড়ে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শুধু মাত্র সাইনবোর্ড আর পিলার গুলো ছাড়া কিছুই নেই। দেখে মনে হয়, এখানে কোন প্রতিষ্ঠানেই ছিল না! বিদ্যালয়টি অবস্থিত উপজেলার বগুলাগাড়ি গ্রামে। স্কুলটির নাম জলঢাকা পৌরসভা কলেজিয়েট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থাপিত হয়েছে ২০০৮ সালে। ৪ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা ছাড়াও সেখানে রয়েছে ১৩০ জন ছাত্র/ছাত্রী। ২০১৩ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি সরকারী গেজেট পায়। এবারে পিএসি পরীক্ষা দিয়েছে ১০ জন। তার মধ্যে ৪ জন বৃত্তি পেয়েছে। ২ জন ট্যালেন্টপুল ও ২ জন সাধারণ গ্রেডে। পাসের হারও শতভাগ। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক/শিক্ষিকা, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। স্কুলের সভাপতি আবেদ আলী বলেন, চলছে বর্ষা মৌসুম সাথে কাল-বৈশাখী ঝড়। গত বৃহস্পতিবারের ঝড়ে লন্ড-ভন্ডে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ময়েন উদ্দিন জানান, বিধ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন কর্তাব্যক্তিরা পা রাখেনি স্কুলটিতে । ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী মোনাকাত আক্তার জানায়, আমাদের স্কুলটিতে খুব ভাল ক্লাশ হত ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে ঠিক মত ক্লাশ হচ্ছে না। অভিভাবকদের মধ্যে অনেকে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি ঝড়ে নিশ্চিহ্ন হওয়ায় আমরা শঙ্কিত। এখানে ক্লাশরুম নেই, শিক্ষকদের বসার জায়গা নেই, পড়াশুনার পরিবেশ নেই, সামনে বাচ্চাদের পড়াশুনার ফলাফল কি হবে তাই ভেবে উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (ক্লাষ্টার) মোশফিকুর রহমান বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং পূনঃ নির্মাণের জন্য কাগজ পত্রাদি পাঠিয়েছি ডিও অফিসে। অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪ জন শিক্ষক বসে আছেন চেয়ারে। ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিতি ছিল না, প্রধান শিক্ষক বললেন একটু আগেই ছুটি দিয়েছি। কি করব রোদের মধ্যে বাচ্চারা থাকতে চায় না। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি অতি দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় নির্মিত না করে তাহলে ভবিষৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ১৩০ জন ছাত্র/ছাত্রীর।