Shadow

জলঢাকায় মজুরী বৈষম্যর শিকার হাজার-হাজার নারী শ্রমিকরা।

নীলফামারী প্রতিনিধি : পাখি ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে সংসারের সব কিছু গুছিয়ে কাজের জন্য ছুটতে হয় অন্যর বাড়ীতে। সন্তানকে কোলে নিয়ে অথবা কারো কাছে রেখে যেয়ে। রোদ-বৃষ্টি, কন-কনে শীতকে উপেক্ষা করে সারাদিন কাজ করতে হয়। তারপরও মজুরী বৈষম্যর শিকার হাজার-হাজার নারী শ্রমিকরা। পুরুষদের সাথে সমান ভাবে কাজ করলেও ঘটেনা এ পরিবর্তন। জানা যায়, উপজেলার একটি পৌরসভা সহ ১১ টি ইউনিয়নে হাজার-হাজার নারী শ্রমিক আছে। এরা পুরুষদের মত ধান লাগানো, কাটা, মাড়াই, পাট কাটা, আলু লাগানো সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। নারী শ্রমিকরা সাধারণত বিধবা, নি¤œ আয়ের ও হিন্দু ধর্মাবলিম্বরাই সংখ্যায় বেশি। সারাদিন কাজ করে পুরুষরা মজুরী হিসেবে পায় ৩ শত থেকে ৩ শত ৫০ টাকা সেখানে নারীদের মজুরী ১ শত ২০ টাকা থেকে ১ শত ৫০ টাকা। কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোলের নিরমিল বালা জানান, আমি স্বামী মারা যাবার পর থেকে কাজ করে আসছি। পুরুষদের সাথে সমান ভাবে কাজ করলেও আমার দ্বিগুন টাকা তাদের দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করলে কাজে নেয় না। কাঁঠালীর বিধবা হাসনা বেগম বলেন, আমি ধান, পাট সবেই কাটি কিন্তু আমাকে দেড় শত টাকা দেওয়া হয় আর পুরুষদের দেওয়া হয় ৩ শত টাকা। শুধু নিরমিল, হাসনা বেগম নয় এরকম শত-শত নারী শ্রমিকের এরকম মজুরী বৈষম্যের অভিযোগ। তারা বলেন নারী পুরুষ সমান অধিকার হলেও এখানে তার উল্টো চিত্র। এব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জয়ন্তি রাণী জানান, উপজেলায় হাজারেরও বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে। তারা বেশির ভাগ কৃষি শ্রমিক পুরুষদের তুলনায় তাদের মজুরী কম দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *