Shadow

ভোলা-২ আসন পুনরুদ্ধারে মুকুল তৎপরতা অব্যাহত : হাফিজকে নিয়ে হতাশায় তৃণমুল নেতা-কর্মীরা

ভোলা প্রতিনিধি : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের মধ্যে ক্রমেই উৎসাহ উদ্দিপনা, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।এসবের মধ্য দিয়েও আ:লীগ বিএনপি, জাতিয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের সম্বাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছে। আবার দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রার্থীরা লবিং তদবির চালিয়ে আসছেন। ভোলার চারটি আসনের মধ্যে ভোলা-২ আসনটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।  স্বাধীনতার পর থেকে ভোলা- ২ সংসদীয় আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে ছিল বেশ কয়েকবার। ২০০১ সালে জাতিয় নির্বাচনে এ আসনটি চলে যায় বিএনপির নিয়ন্ত্রণে। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিম আ:লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য বর্তমান  বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে পরাজিত করে সংসদসদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে এ আসনটি একেবারেই বিএনপির রাজত্বে চলে যায়। পরিচিতি পায় বিএনপি অধ্যুশিত এলাকা হিসেবে।  এখনো সেই পরিচিতি সর্বাধিক প্রচার-প্রচারিত। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তোফায়েল আহমেদ এর ভাতিজা আলী আজম মুকুল। নিজস্ব আদলে তৈরি করতে থাকেন দৌলতখান -বোরহানউদ্দিনের জনগণকে। শুরু হয় আওয়মী রাজত্ব। আসনটি কব্জা করে রাখতে দিন রাত জনগণের মাঝে ছুটাছুটি করছেন তরুণ এই সংসদসদস্য আলী আজম মুকুল। ইতিমধ্যে তিনি প্রতিটি ইউনিয়েনর ওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ বাড়িতে শত শত নারী পুরুষের উপস্থিতিতে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গণসংযোগ শরু করেছেন। বৈঠকে ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন বলে জানান তার নেতা কর্মীরা।  অন্যদিকে হাস্যজ্জোল আচরনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তার হাত ধরে আ:লীগে যোগদান করেছেন। এখোনো অনেক বিএনপি নেতা-কর্মীরা তার হাত ধরে আ:লীগে যোগদানের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাোযগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন বলে জানাগেছে। দৌলতখানের বেশ কয়েকটি এলাকার সাধারণ জনগণের সাথে কথা বললে তারা জানান,আলী আজম মুকুল হচ্ছে প্রকৃত জনগণের বন্ধু। তার স্বভাব সুলভ আচরণে আমরা যথেষ্ট মুগ্ধ। তার কথা কাজেও এক। মানুষকে যে ওয়াদা দেন তা পুরনও করেন।  দরিদ্র পরিবারের বাসস্থান, অন্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার মাধ্যমে চোখের আলো ফিরিয়ে তিনি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়া  স্কুল -কলেজ, মসজিদ মক্তব মন্দির এর  উন্নয়েনর ক্ষেত্রেও তার পরিকল্পনা প্রসংশার দাবী রাখে।আগামী নির্বাচনে  তার অবিচল নেতৃত্বে এই আসনটি আবরো আ:লীগ বিজয় অর্জন করবে বলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
এদিকে বিএনপির সাবেক সংসদসদস্য হাফিজ ইব্রাহীমের এক সময় বাহারি জৌলুশ থাকলেও এখন আর তা নেই বললেই চলে। নানা কারণে তিনি এখন দলের মধ্যে চরম বিতর্কিত ব্যক্তি । বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে লঞ্চ ব্যবসার অন্তরালে আ:লীগের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী এমপিদের সাথে আতাত করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এমনকি লঞ্চ ব্যবসার আদলে তার নির্বচনী এলাকার নেতা-কর্মীদের থেকেও  অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন। অপরদিকে গত মঙ্গলবার তিনি একটি মামলায় খালাস পেলেও তথ্যগোপন মামলায় তার তিন বছরের সাজা বহাল রেখেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। সাথে ৫০ লাখ টাকা অর্থদন্ড করেছেন। অনাদায়ে আরো এক বছর জেল দিয়েছেন। রায়ের পর থেকে দৌলতখান -বোরহানউদ্দিনে  তার অনুসারীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরেছেন। অনেকে নতুন নেতৃত্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সর্বত্র গুন্জন চলছে তিনি আগমি নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবেন কি না? যদিও হাফিজ ইব্রাহিম আপিল করবেন বলে জানাগেছে। মামলায় শেষ পর্যায়েও যাই হোক না কেন তার নেতৃত্বের প্রতি নেতা কর্মীরা অনেকটা অনাস্থা জানিয়ে দলবদল করছেন। অনেকে আবার নিস্ক্রিয় হয়ে পরেছেন। এদিকে গত কয়েক বছরে বোরহানউদ্দিন উপজলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সসম্পাদক অধ্যক্ষ গজনবী ও দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিনসহ কয়েকশত নেতা কর্মী  হাফিজ ইব্রাহীমের প্রতি চরম ঘৃনা প্রকাশ করে আলী আজম মুকুলের হাতে ফুলের তোরা দিয়ে আ:লীগে যোগ দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে দৈন্যদশা দেখা দিয়েছে । যার প্রমান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায় হওয়ার পর দলের কেন্দ্রীয় কোন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারেন নি দুটি উপজেলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *