নীলফামারী প্রতিনিধি।lনীলফামারীর জলঢাকায় হাফিজিয়ার মৌলভী শিক্ষক কর্তৃক মোঃ সুমন ইসলাম নামের অত্র হাফিজিয়ার এক ছাত্রকে বেধরক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়ন ভাবচুর মরাতিস্তা সাইফোন বাজার সংগ্লন হাফিজিয়া মাদ্রাসায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়- উক্ত হাফিজিয়ার ছাত্র মোঃ সুমন ইসলাম জলঢাকার টেংগনমারী দিগলটারী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।সে ভাবনচুর মরাতিস্তা সাইফোন এলাকার মোঃমমিনুর রহমানের বাড়িতে লজিং থেকে উত্র মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টায় মোঃ সুমন ইসলাম বাড়িতে যাওয়ার জন্য শিক্ষক মৌলভী আব্দুর রাজ্জাক এর কাছে ছুটি চাইলে তিনি বাড়ি যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে উল্টো সুমন ইসলাম বেধরক নির্যাতন করে মাদ্রাসায় থেকে চম্পট হয়।
মাদ্রাসার ছাত্র ও স্হানীয়দের সহযোগীতা উদ্ধার করে স্হানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এবিষয় হাফিজিয়ার সহ সভাপতি মোঃ সিদ্দিক হোসেন এপ্রতিবেদক কে জানান, ছাত্রকে এভাবে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি, শিক্ষক যেহেতু নাই তিনি আসলে আমার আলোচনা করে দেখবো।
অপরদিকে স্হানীয় ইউপি সদস্য মোনায়েম হোসেন কথা হলে তিনি জানান,কেউ আমাকে বিচার দেন না, তবে আমি শুনেছি,,এভাবে শিশুটিকে নির্যাতন করা ঠিক হয় না, শিক্ষকের সঠিক বিচার হওয়া উচিৎ। এলাকাবাসী মইনুল ইসলাম,জুহুরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রকে মারপিট করার ঘটনা এর আগে ও অনেক হয়েছে, কিন্তুু কমিটির লোক কেউ কিছু বলেনা,কমিটির লোকের কারনে শিক্ষক এমন সাহস পায়,এর সঠিক বিচার হওয়া উচিৎ।
অত্র মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকেরর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সুমন বাড়ি যাইতে চাইলে আমি তার মাকে ফোন দেই, তিনি আমাকে বলে তাকে বাড়িতে পাঠাবেন না, তাকে দড়ি দিয়ে বেধে রাখেন তাই তাকে মারছি। এটা কোন ব্যাপার নয়,,শিক্ষা দিতে হলে মাঝে মাঝে এমন হতে পারে।আর কিছু বলার আগেই তিনি চলে যান।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী দাবী করেন শিক্ষকের সুস্ঠ বিচার।