Shadow

বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা চিরতরে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালিয়েছিলো বিএনপি -জামাত,পাবনার ঈশ্বরর্দীতে:- ভূমিমন্ত্রী

পাবনা জেলা প্রতিনিধি  : ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু বলেছেন, ১৯৭৫
পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান সরকার ও বিএনপি- জামায়াত সরকার বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে ফেলার
চেষ্টা করেছিল। জিয়াউর রহমান সরকার যতদিন আমাকে জেলে রেখেছিল, ততদিন মাধপুরের পবিত্র মাটিতে
আসতে পারিনি। এছাড়া ৪৬ বছর ধরে মাধপুরের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে আসি। কারণ, এ মাটিতে রাজুর
রক্ত, রাজ্জাকের রক্ত। ঈশ্বরদী ও পাবনার সীমান্তবর্তী মাধপুর এলাকায় ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাকিস্তানী
হানাদার বাহিনীর সঙ্গে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ হয়। তাতে নেতৃত্ব দেন শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। ওইদিনের যুদ্ধে
শহীদ হন ১৭ জন। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিবছর এ দিনটি মাধপুর দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে মাধপুরের বটতলায় সেদিনের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত স্মৃতিচারণ
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পাবনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন, এসএম সাজেদুল হক নিলু, আব্দুল বাতেন, আব্দুল খালেক, গোলাম মুস্তফা চানা মণ্ডল, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মতলেবুর রহমান মিনহাজ, আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে যেমন একদিকে, বাঙালি জাতির শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে
অন্যদিকে, দেশকে শত্রুমুক্ত করতে কী কী করতে হবে সে নির্দেশনাও দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু জানতেন, পাকিস্তানী শাসকেরা তাকে হয়তো আর কথা বলতে নাও দিতে পারে, সেজন্য তিনি বলেছিলেন,আমি যদি হুকুম
দেবার নাও পারি তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।
সেই নির্দেশ আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি শব্দ ছিল আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। সেদিন আমাদের হাতে ছিল তীর, ধনুক, আর বন্দুক। রাজু, রাজ্জাকসহ ১৭ শহীদের রক্ত মিশে আছে
মাধপুরের মাটিতে। মাধপুর সারাদেশ তথা পাবনা জেলার গর্ব। অচিরেই এক কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। মাধপুর একদিন তরুণ প্রজন্মের কাছে অহংকার ও গর্বের স্থান হবে।
এর আগে মন্ত্রী রজনীগন্ধা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানান। শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এসময় শহীদের সমাধীস্থলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *