Shadow

ডিমলায় অজানা রোগে দুই শিশু পঙ্গু হতে চলছে।

নীলফামারী প্রতিনিধি। জম্মের পর থেকে হাসি আনন্দ উল্ল্যাসে দৌড়া দৌড়ী ছোটাছুটি পাড়ার শিশুদের সাথে স্কুলে যাওয়া আসা সব ছিল নিত্যদিনের রুটিন হঠাৎ করে অজানা এক রোগে আক্রান্ত হয়ে দিনে দিনে পঙ্গুত্বের দিকে ঢলে পড়ছে।নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের উত্তর নিজপাড়া ভুলীরটারী গ্রামের লিটন রানার ও স্মৃতি বেগমের দুই ছেলে।এমন খবর পেয়ে সংবাদকর্মী উপস্হিত হন রানার বাড়িতে প্রতিবেদককে দেখে কান্নাজনিত কন্ঠে স্মৃতি বেগম জানান, কি হলো আমার কপালে ? কোন দিন ভাবতেই পারিনি আমার সংসার জীবনে এমন দর্বিসহ হয়ে উঠবে ? সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে দুই টি ছেলে সন্তান দিয়েছে তাও মাত্র ৭/৮ বছর বয়সেই তাদেরকে এমন কি রোগ দিলো আল্লাহ তারা দিনে দিনে এখন পঙ্গু হতে চলেছে ?
জানা যায়, অজানা রোগে আক্রান্ত ১৩ বছরের আরিফুজ্জামান ও ৯ বছর বযসী শিশু লামবাবু এখন আর হাটতে পারছে না। দেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করালেও কোন চিকিৎসাই কাজ হচ্ছে না ফলে ধীরে ধীরে পঙ্গু হতে চলেছে সহোদর এই দুই ভাই। জন্মের পর থেকে তাদের কোন রোগ ছিলো না। অন্যসব শিশুদের মতোই স্বাভাবিক ভাবেই স্কুলে যেত, খেলাধুলা ও দৌড়ঝাপ করতো স্বাভাবিক শিশুদের মতোই। আরিফুজ্জামান ক্লাস টু-তে পড়ে। আর ছোট ছেলে লামবাবু পড়ে ক্লাস ওয়ানে। এখন তারা আর স্কুলে যেতে পারে না।
মা স্মৃতি বেগম জানালো, ঠিক ৭ থেকে ৮ বছর বয়সে গিয়ে আমার বড় ছেলে আরিফুজ্জামান ধীরে ধীরে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এক সময় সে আর হাটতে ও চলতে পারে না। একই ভাবে ছোট ছেলে লাম বাবু ও ঠিক একই বয়সেএসে সেও হাটতে ও চলতে পারছে না। বর্তমানে দুটি ছেলেই কথা বার্তা বলতে পাড়লেও এখন পঙ্গু হয়ে শুধুই বসে থাকে। এ নিয়ে অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। টাকাকে কখনও টাকা হিসেবে দেখিনি।
যখন যেখানে যাহা বলেছে সেখানেই নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। রংপুর ও ঢাকা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি ছেলে দুইটির। ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও রোগ ধরতে পারছে না শুধু বলছে ডিএমডি রোগে অক্রান্ত হয়েছে। দুটি সন্তানের এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে দুখী মা-বাবা।  তারা আরো জানান, আমাদের (স্বামী-স্ত্রী)’র রক্তের গ্রুপ একই। কিন্তু ডাক্তার বলেছে রক্তের গ্রুপ একই হলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কি কারনে আমাদের ছেলে সন্তান দুইটি ধীরে ধীরে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে আর হাটতে ও চলতে পারছে না সে বিষয়ে ডাক্তার কোন উত্তররেই দিতে পারছেন না।
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মা স্মৃতি বেগম জানান, আমাদের সন্তানদের যদি চিকিৎসার সন্ধান যদি পাওয়া যেত তাহলে আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বাচ্চাদের চিকিৎসা করতাম। কিন্তু ভাগ্যেও কি নিমর্ম পরিহাস যে ছেলে দুইটির এখন আর চিকিৎসা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবা-মায়ের আকুতি যদি এ রোগের কোন চিকিৎসা খোঁজে পাওয়া যেত তাহলে ছেলে সন্তান দুইটির জন্য শেষ চেষ্টা করে যেতেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *