Shadow

দৌলতখানে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধ ঃ-
দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরগুমানী গ্রামের দুদু মিয়া হাওলাদার বাড়িতে ১১মাসের এক শিশু সন্তানের জননী মীম (২২) নামের এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শশুড় বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে।হত্যার পর আত্মহত্যা করছে বলে শশুর বাড়ীর লোকজন অপপ্রচার চালাচ্ছে। নিহত গৃহবধূর বাড়ি উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের লেজপাতা গ্রামে। তার পিতার নাম কবির হাওলাদার।নিহত গৃহবধূর চাচী কামারুন জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার সময় মীমের শশুর বাড়ির এক লোক মিমের মামার কাছে মোবাইল করে বলে মীম আত্মহত্যা করেছে। গিয়ে দেখি ঘরে শশুর শাশুড়ী, দেবর ও ননদ কেউ নাই। পরে পাশের বাড়ির টয়লেট থেকে শাশুড়ীকে ধরে আনি। এ সময় মীমকে পিছনের বারান্ধায় মাটিতে শোয়া অবস্থায় এসে দেখি এবং উপরে একটি দুই হাত লম্ভা পরিমান শাড়ীর কাটা অবস্থায় ঝুলন্ত বয়েছে। তিনি বলেন, যে অবস্থায় দেখেছি তাতে মীমেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।মীমের বড় ভাই মো: এমরান কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গত দুই তিন দিন পূর্বেও আমার ছোট বোন মাকে ফোন করে স্বামী, শশুর, শাশুড়ী, দেবর ছোটন ও ননদ শাহীনুরের নির্যাতনের কথা বলে কান্না কাটি করেছে।মিমের পিতা কবির হাওলাদার জানান, বিয়ের পর কয়েক দফায় জামাই মনিরকে স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার যৌতুক দেয়া হয়েছে। আরো ১০ লাখ টাকা যৌতুক দেয়ার জন্য স্বামী মনির,শশুর জেবল হক হাওলাদার, শাশুড়ী, দেবর ছোটন এবং ননদ শাহিনুর আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করে আসছে।এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে চাইলে মীম তাদের দ্বারা আরো বেশি নির্যাতন হবে বলে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলে। যৌতুক না দেওয়ায় শশুর বাড়ীর লোকজন ক্ষিপ্ত শুক্রবার দুপুর আড়াই টার সময় আমার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। অথচ তারা অত্মহত্যা করছে বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।এদিকে মিম হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপার জন্য একটি বিষেশ মহলের সহযোগীতায় স্বামী মনির, শশুর জেবল হাওলাদার,শাশুড়ী, দেবর ছোটন ও ননদ শাহিনুর মীম আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ঘটনার পর থেকে শশুর, দেবর ও ননদ পলাতক রয়েছে।তবে মিমের স্বামী মো: মনির হোসেন পালানোর সময় নিহত মিমের পিতা কবির হোসেন ও তার স্বজনরা কৌশলে আটক করে তাকে দৌলতাখান থানার পুলিশ হেফাজতে দিয়েছেন।এব্যাপারে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, নিহতের শরীরে কোনো স্পট পাওয়া যায়নি। তবে গলার দুই পাশে দাগ রয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে এবং তদন্ত অব্যাহত থাকবে। তার ননদ শাহীনুরকে পাওয়া যায়নি।এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *