Shadow

দৌলতখানে দিনমজুরের যুবতী মেয়ের অবাধ পরোকিয়ায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের নলগোড়া গ্রামের বেলদার বাড়ীর দিনমজুর আবদুল হাই মুন্সীর যুবতী মেয়ে জোসনা আক্তার নাইটুর অবাধ পরোকিয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। তার অবাধ পরোকিয়ার কারণে এলাকার সমাজ ব্যবস্থা দিন দিন ভেঙ্গে পরেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দিনমজুর আবদুল হাই মুন্সীর এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে জোসনা আক্তার নাইটু ১৩-১৪ বছর থেকেই অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পরে। প্রথমে বিভিন্ন ব্যাক্তির বাসা বাড়িতে গৃহিনীর কাজ করে। পরে ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গার্মেন্টে কাজ করে। শুরু হয় তার অবাধ যৌন মেলামেশা। গার্মেন্টে থাকা অবস্থায় এক ছেলেকে বিবাহ করে সে।

ঐ ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কয়েকদিন অতিবাহিত হলে ঐ স্বামীকে দূরে সরিয়ে রেখে নাইটু বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে পরোকিয়ায় জড়িয়ে পরে। ইতিমধ্যে তার দ্বিতীয় বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েকদিন অতিবাহিত হলে দ্বিতীয় স্বামীকেও দূরে সরিয়ে দিয়ে আবারো বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে পরোকিয়া চালিয়ে আসে।

সর্বশেষ উত্তর দিঘলদীর ঢাকায় অবস্থানরত জনৈক জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যাক্তির সাথে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিবাহ হয় নাইটুর। কিন্তু ঢাকায় স্বামী জাহাঙ্গীর এর বাসায় এক মাস থাকার পর কৌশলে পালিয়ে আসে নাইটু। আবার চলতে থাকে তার পরোকিয়া। স্বামী জাহাঙ্গীর ব্যাপক চাপ প্রয়োগের পর পালিয়ে থাকা দুঃচরিত্র নাইটু হঠাৎ করে ঢাকায় জাহাঙ্গীর এর বাসায় গিয়ে ওঠে। জাহাঙ্গীর পুনরায় এসব অপকর্ম করবে না বলে নাইটুর কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়ে বাসায় জায়গা দেয় এবং সংসার শুরু করে। সুচতুর নাইটু মাত্র ১৫ দিন থাকার পর  জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে টাকা স্বর্নঅলংকার নিয়ে পালিয়ে চলে আসে ঢাকা থেকে। এবার স্থানীয় ভাবে কেউ তার হদিস পাচ্ছে না। গত কয়েকদিন পূর্বে স্থানীয়  লোকজন জানতে পারে যে, নাইটু ভোলার হাসপাতাল সড়ক এর মেয়র সড়ক সংলগ্ন ভিতরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, ঐ বাসায় এক ব্যাক্তিকে নিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে অবাধ মেলামেশা করে  আসছে। বাড়িওয়ালা মো: জাহাঙ্গীর জানান, তারা অবৈধ স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছি।

এদিকে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে নাইটুর ভাড়া বাসায় গেলে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে নাইটু তার পিতার বাড়িতে চলে যায়। ৫-৬ মাস পর হঠাৎ রাতের আধারে নাইটুু বাড়িতে ফিরে আসায় এলাকাবাসী বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারছেনা।

এব্যাপারে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এই জোসনা আক্তার নাইটুর বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে এলাকাবাসী থানায় এসে লিখিত ভাবে দিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযোগ রয়েছে, নাইটুকে দিয়ে তার মা পারুল বেগম ও পিতা আবদুল হাই মুন্সী, ভাই মনির হোসেন ছ্ওাার অসামাজিক কাজে লিপ্ত রেখে মোটা অংকের টাকা বানিজ্য করে আসছে।
নাইটু আক্তারও তার পিতা মাতার অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে পারুল বেগম মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে দাবিয়ে রাখত। নাইটুর একাধিক পরোকিয়ার ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নাইটু ও তার মা পারুল বেগম, বড় ভাই মনির এর বিরুদ্ধে জরুরিভাবে  ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও সমাজের জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *