Shadow

ভোলায় কতিথ সাংবাদিকের বেপরোয়া দৌরাত্ম্য ছাত্রলীগের পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার এক কতিথ সাংবাদিকের বেপরোয়া দৌরাত্ম্যের কারণে ভোলার সাংবাদিক সমাজ ও সুশীল সমাজের লোকজন বিপাকে পরেছে। ঐ সাংবাদিক নিজেকে কখনো একটি অনলাইন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক, কখনো ভোলা জেলা ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা, কখনো জেলা প্রশাসকের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিয়ে জনমনে ভয়-ভীতিসহ বিভিন্ন প্রতারণা করে আসছে। আবার অনেকের সাথে কোন বিষয় নিয়ে বাক-বিত-া হলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ঘায়েল করার জন্য ছাত্রলীগের পরিচয়টি সামনে এনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বরিশাল মঠবাড়িয়া উপজেলার আল-আমিন তাওহীদ নামের এক যুবক ভোলা আলীনগর এলাকার এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিবাহ করে। এর পর থেকে শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থান নিয়ে হলুদ সাংবাদিকতা শুরু করে। সাংবাদিকতার নুন্যতম অভিজ্ঞতা না থাকলেও বিভিন্ন টিভির সাংবাদিক ও ভোলার একটি অনলাইন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নিজেকে  দম্ভোক্তির সাথে উপস্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সে সঠিক সংবাদই লিখতে পারেনা। সে আবার অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক! (লজ্জা না থাকলে যা করতে পারে) । এদিকে আল-আমিন এম তাওহীদ এর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলায় তার বাড়ী। সেখানে তার বিরুদ্ধে থানায় দুইটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী মামলা রয়েছে। সে এলাকায় যেতে পারছে না। এলাকায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পরে। ভোলা বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন নতুন প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ বাংলা ইনস্টিটিউট এর ছাত্র ছিল। ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্রীদেরকে প্রায়ই উত্যক্ত করত। একসময় এলাকার লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাকে গণধোলাই দিয়েছে। গণধোলাইর পরও সুধরাতে পারেনি নামি-দামি কতিথ সাংবাদিক আল-আমিন এম. তাওহীদ। তার অপকর্ম এখনো বিদ্যমান। চরফ্যাশন উপজেলার এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরোকীয়া সম্পর্ক তৈরী করে তার কাছ থেকে স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা নেওয়ার পর সটকে পরে সু-চতুর আল-আমিন এম তাওহীদ। অনেক খোঁজা খুজির পর ঐ প্রবাসীর স্ত্রী আল-আমিন এম. তাওহীদের আলীনগর শ্বশুর বাড়ীতে এসে হাজির হয়। পরে কৌশলে তাকে পাঠিয়ে দেয় তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে সিনিয়র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পরোকিয়া চালাচ্ছে।
অন্যদিকে বর্তমান ভোলা জেলা প্রশাসক তার নিকটতম আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণার ফাদে ফেলে ব্লাকমেইন করার অভিযোগ রয়েছে। আবার কোথায়ও কোথায়ও ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব বিস্তার করছে। সম্প্রতি সে বিভিন্ন ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে উদ্দেশমূলক ভাবে লেখা-লেখি করার বিষয়টি হাতে নাতে ধরা পরে। ভোলার প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম (মিঠু) জানতে পেরে তাকে প্রথম বারের মত সাবধান করে দিয়েছেন । পরে ঐ ফেইসবুক আইডিটি বন্ধ করে ফেলে। আবার নতুন করে কয়েক টি ভুয়া আইডি খুলে টার্গেট ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা কুৎসা লিখতে থাকে। বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ পাঠিয়ে ঐ পত্রিকার সাংবাদিকদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। যাহার ডাইরী নং- ৬৪১, তারিখ- ১৫/০২/২০১৭। কতিথ সাংবাদিক এখন নতুন নতুন ভুয়া আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি/সম্পাদক এবং প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *