Shadow

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে চলছে স্পিডবোটে যাত্রীবহন

জেলা সংবাদদাতা,ভোলা: ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের উত্তাল মেঘনা নদীতে চলছে স্পিডবোটে যাত্রীবহন। অনুমতি ছাড়া কোস্টগার্ড ও পুলিশের নাকের ডগায় চলছে এসব যান। তবুও এর বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা।

ভোলা থানার পুলিশ বলছে, কোনো অনুমতি ছাড়াই গায়ের জোরে চলছে এসব যানবাহন।

এদিকে, যে কোনো মুহূর্তে এসব যানে দুর্ঘটনা ঘটলে এ দায়ভার কে নেবে, এমন প্রশ্ন খোদ বিআইডব্লিউটিএর পোর্ট কর্মকর্তাদের।

গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চালকের অভিজ্ঞতা ছাড়াই আইন ও নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে একটি চক্র এসব অবৈধ যান চালিয়ে কামিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অভিযোগ আছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব যান।

বর্তমানে ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী রুটে চলছে ১৫টি স্পিডবোট। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন ভেদুরিয়া ঘাটের আলাউদ্দিন, ইলিশাঘাটের জহির, মিলন জমারদার। অপরদিকে লক্ষ্মীপুর ঘাটের জাবেদের আছে দুটি, মনিরের আছে দুটি, মো. জসিমের একটি। ওই পাড়ে নিয়ন্ত্রণ করেন আলমগীর মিয়ার গ্রুপ।

লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরী ঘাটে আছে কোস্টগার্ডের ক্যাম্প এবং ইলিশাঘাটে আছে পুলিশ ফাঁড়ি। তবুও এদের সামনেই চলছে অবৈধ স্পিডবোট। ভাড়া হিসেবে যাত্রী প্রতি নেয়া হয় সাড়ে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।

এছাড়া এ সব হালকা যানে ৫ জনের বেশি ধারণ ক্ষমতা না থাকলেও যাত্রী নেয়া হয় ১০ থেকে ১২ জন। প্রতি বোট থেকে ঘাট ইজারাদারকে দিতে হয় ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। পুলিশ নেয় ৫০ টাকা।

ইজারাদার ফারুক জানান, তিনি শুধু ঘাটের জন্য ২০০ টাকা পান।

বিআইডব্লিউটিএর ভোলা অঞ্চলের পরিদর্শক মো. নাসিম প্রয়াস নিউজ কে জানান, এসব যান চলাচল সম্পূর্ণ অবৈধ। এদের চলাচলে হাইকোর্টেও নিষেধাজ্ঞা আছে। ওই আইনও মানা হচ্ছে না। গত সপ্তাহে ভোলা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে দুটি স্পিডবোটের সংঘর্ষে এক জন ডাক্তারের স্ত্রী ও মেয়ে নিহত হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন কঠোর হওয়ায় কয়েকদিন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

তিনি আরও জানান, এরপর আবারও এসব যান নতুন করে চলাচল শুরু করে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে। মেঘনা নদীর প্রচণ্ড ঢেউ সামাল দিয়ে লঞ্চ চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কিভাবে স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে এমন প্রশ্নও তোলেন বিআইডব্লিউটিএর এ কর্মকর্তা।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আজমল হুদা মিঠু জানান, স্পিডবোটগুলো নৌমন্ত্রণালয়ের শিপিং দপ্তর থেকে চলাচলের অনুমতি বা সনদ নেয়নি। তাই এইসব যান নিয়ন্ত্রণে তাদের দায়িত্ব নেই। এগুলো কিভাবে চলছে তা দেখার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের।

এদিকে, ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, মেঘনা নদীতে চলতে পারে এমন স্পিডবোট এগুলো নয়। এরা গায়ের জোরে চালায়। এদের কোন অনুমতি নেই।

জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিলে এদের আটক করতে পারেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *