স্টাফ রিপোর্টার,ঢাকা: সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে আগামী নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সংবিধানে যদি সংলাপের কোনো সুযোগ থাকে, তাহলে গণতন্ত্রের জন্য সংলাপ হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।”
সোমবার সকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা উপ-পরিষদ আয়োজিত ‘বিএনপি জামাতের নৈরাজ্য খণ্ডচিত্র প্রদর্শনী’র উদ্বোধনকালে তিনি এ বলেন।
তিনি বলেন, “যারা দুই নেত্রীকে সংলাপে বসাতে চান, তাদের বলবো, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট কিংবা পুত্রশোকে শোকাহত মা খালেদা জিয়াকে সমাবেদনা জানাতে গিয়ে শেখ হাসিনার ফিরে আসা, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার কথা স্মরণ করুন। এখন যে বিষয়ে সংলাপ তা নিয়ে তো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে করেছে বিএনপি। তাহলে আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিসের সংলাপ? সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে আগামী নির্বাচন হবে।”
কাদের বলেন, “৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রস্তাব খালেদা জিয়া কী অশ্রাব্য ও নোংরা ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছিল, এটা আমরা ভুলে যাইনি। এখন সংলাপের কথা বলছেন। সেই দিন কেন সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন? এ প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করেছেন।”
পুত্রশোকে শোকাহত মাকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তিনি (খালেদা জিয়া) ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে সংলাপের দরজাও বন্ধ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করেন। তাদের আগুন সন্ত্রাসে পঙ্গু হওয়া মানুষের আহাজারি, আর্তনাদের জবাব দেবে কে? গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য মায়াকান্না করছেন, নাকি গণতন্ত্র হত্যার জন্য মায়াকান্না করছেন?”
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
আরও বক্তব্য দেন-৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সংহিংসতার শিকার মাইসা খাতুনের মা মারুফা বেগম, নায়েক দুদু মিয়া, পিয়ারুল ইসলাম, পটল মিয়া, রেজাউল করিম, মিষ্টি মিয়া ও অমল চন্দ্র রায়।