Shadow

পাবনার সাঁথিয়ায় দুর্বৃত্তরা অসহায় জেলেদের মাছ ধরা চারো কেটে ফেলেছে l

পাবনা জেলা সংবাদদাতা: পাবনা সাঁথিয়ার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের ঘুঘুদহ বিলের মাছ ধরা চারো কেটে ফেলেছে দর্বৃত্তরা। জানা যায় ঘুঘুদহ বিলের জোলা সংলগ্ন মালিকানা জমিতে এলাকার দরিদ্র পরিবারের জেলেরা চারো দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসার সাদিয়া ও ভূমি সহকারীর নেতৃত্বে অবৈধ জেলেদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ০৮টি মাছ ধরা চারো কেটে দেয় ও জাল জব্দ করে নিয়ে যায়। অভিযানের সময় গৌরীগ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনের ক্যাডার বাহিনী মানিক, দেলোয়ার, বিপ্লব বিলের মধ্যে অভিযানের সময় মাছ ধরা চারো অত্র গ্রামের সাইদের ৩০টি, রেজাউল ২৫, মতিউর ২০, মাহাতাব ১৫, মোতালেব ২০ ও এরশাদের ২০টি মাছ ধরা চারো কেটে দেয়। বিলের লীজ নেওয়া ইজারাদার ফিরোজ হোসেন জানান ২৬/০৭/২০১৭ইং তারিখে সাঁথিয়া পৌর মেয়র কার্য্যালয় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্মারক নং-৩৩.২.৭৬০০.৪০০.৩০.২৯৯.১৬.২১৯/১(৩) তারিখ: ২০/১০/২০১৭ইং বাদী মোঃ আলী হোসেন, বিবাদী শ্রী দেবেন্দ্র নাথ হলদার এর মধ্যে সমঝতা ১৪২২ বাংলা সন হইতে ১৪২৭ বাংলা সন পর্যন্ত বাংলাদেশ ভুমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ক্রমে টিএস নং-৯৮ এর আওতা ভুক্ত। আড়িয়ার জলা, বড় জলা ও ১০ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকাসহ সমলভ্যাংশর ভিত্তিতে ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে ০১/০৩/২০১৬ইং তারিখে সাঁথিয়া থানার স্মারক নং-১২০১/২০১৭ শালিশ নামা বলে প্রাপ্তসহ মোক্তারের ব্রিজ হইতে আড়িয়ার বিলা স্মারক নং-ই/৩/৫৬৬৬/১/(৫) মোতাবেক ছোন পচা হইতে বড় বিলের মাথা পর্যন্ত এবং বড় বিলের পশ্চিম পাড় থেকে আগারী হইয়ে চর মাঝখালি বিলের হুন্তাগাড়ী আগারী পর্যন্ত ও একই স্মারকে ২০/০২/২০১৭ইং তারিখে রওশনের ড্রেন থেকে তালপট্টি ব্রিজ হয়ে সৈয়দপুর ব্রীজ পর্যন্ত। ১৪/০৬/২০১৮ইং তারিখে মোঃ আলী হোসেন আমার নামে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আমার নামে হলফনামা করে দেন। কিন্তু অত্যন্ত ন্যাক্কার জনক ভাবে গৌরীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন এর ইশারায় আমার লীজকৃত জলা তার বাহিনী দ্বারা গরিব অসহায় মাছ ধরা চারো কেটে দিয়েছে। ২ বছর চেয়ারম্যান জোর পূর্বক মান্নান প্রাং, পিতা- মৃত লসকর প্রাং একজনকে দিয়ে জোর পূর্বক ভোগ দখল করেছে। গৌরীগ্রাম ইউপির স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগ সেক্রেটারী নূর বক্স জানান এক পাশে ফিরোজের জলা অন্য পাশে চেয়ারম্যানের জলা। পরিকল্পিত ভাবে ফিরোজের জলা থেকে ২০০টির মত চারো কেটে দিয়েছে চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী। তার ভয়ে কেহ এলাকার মুখ খলেন না। এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ৮টি চারো কেটেছি। ২০০টি চারো কেটে দেওয়ার ঘটনা জানিনা। আমাদের কেহ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং চেয়ারম্যানের জলাতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। নাম প্রকাশ না করা স্বত্তে এলাকার কয়েক জন জানান চেয়ারম্যানের লোকজন অভিযানের সময় গরিব জেলেদের শত্রুতা বশত চারো কেটে দিয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ হয় নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *