Shadow

ভোলার দৌলতখানে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর পেলেন স্বচ্ছল ও বিত্তবান মুক্তিযোদ্ধারা !

ভোলা প্রতিনিধি \ ভোলার দৌলতখানে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্ধকৃত ঘরের তালিকায় ওঠে এসেছে অর্থ ও বিত্তবান স্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম। একটি বা দুটি নয়, ১২টি ঘরের প্রায় সবকটি ঘরই নিয়ে গেছে উপজেলার স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা। এমনকি বাদ পরেনি অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরিতে যাচাই-বাছাই কমিটির নেতারাও। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজকর্মী গিয়াস উদ্দিনের যোগসাযসে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বঞ্চিত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাগণ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বালংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি পরিবহনপুল ভবন, সচিবালয় সংযোগ সড়ক অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির মাধ্যমে এক এক করে তাদের নামে নির্মাণ করে হচ্ছে পাকা ভবন। যার এক একটির বর্তমান মূল্য প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। সেই ধারাবাহিকতায় ভোলার দৌলতখান উপজেলাতেও অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ১২টি ঘর। এরই মধ্যে উপজেলা পিআইও অফিসের মাধ্যমে
যার টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঠিকাদার নির্বাচিত করা হলেও এখন শুরু ঘর
নির্মানের অনুমতির অপেক্ষায়।
এদিকে ঘরের তালিকায় থাকা অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পরিবর্তে সবই স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চলে আসার খবরে ফুসে উঠেছেন দৌলতখান উপজেলার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা। তারা এর তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি পূর্নরায় এ তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত পক্ষে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ঘর দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।
দৌলতখান উপজেলা সমাজসেবা অফিসের তথ্যমতে, অস্বচ্ছল/ভূমিহীন বীর মুক্তিদ্ধোদের জন্য আবাসন বরাদ্ধ সংক্রান্ত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি ঘঠন করা হয়। যেখানে ছিলো তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, স্থানীয় সাংসদের প্রতিণিধি দৌলতখান পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফারাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনিত বীর মুক্তযোদ্ধাদের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক শশি, উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) প্রতিনিধি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাইদুল ইসলাম খান ও উপজেলা সমাজসেবার প্রতিনিধি উপজেলা সমাজসেবা
অফিসার পাপিয়া সুলতানা। এই কমিটি যাচাই-বাছায়ের মাধ্যমে ২১ জনের নাম চুরান্ত করে ৪ অক্টোবর ২০২০ সালের দিকে একটি পুণাঙ্গ তালিকা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দেয়। যেখানে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নামও ওই তালিকায় ওঠে এসেছে। তাতে করে
দেখা গেছে, চলতি বছরের ৩ আগষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে ২১ জনের বিপরীতে ১২ জনের নামে ঘর বরাদ্ধ হয়ে আসলেও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশরাই বাদ পড়েছে এ তালিকা থেকে।
জানা গেছে, এক এক করে কয়েকবার মেঘনার ভাঙ্গনে ভিটেমাটি ও সহায় সম্বল হাড়িয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মাওঃ আবু ছাইদের ছেলে ইকবাল হোসেন ও তার পরিবারের এখন ঠাই হয়েছে দৌলতখান উপজেলা পরিষদের প্রাচীরের সাথেই পরিত্যাক্ত সরকারি একটি ঘরে। অর্থের অভাবে জায়গা কিনে ঘর করার সামর্থ না থাকায় কয়েক বছর যাবত সরকারি ভাবে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দেয়া একটি ঘরের জন্য ছুটছেন বিভিন্ন মহলে। অবশেষে আশ^াসও মিলেছে ঘর পাওয়ার। এমনকি উপজেলার আবাসন বরাদ্ধ সংক্রান্ত কমিটির সভায় অনুমোদিত অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চুড়ান্ত তালিকায় ২১ জনের মধ্যে ১ নম্বারেই ছিলো ইকবাল হোসেনের নাম। তাই ঘর পাবে এমন আশায় দার দেনা করে এক খন্ড জায়গাও তিনি ক্রয় করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে মন্ত্রনালয় থেকে আসা ঘর বরাদ্ধের তালিকায় তার নামটি না থাকার দুঃখে কষ্টে সে এখন পাগলপ্রায়।
ঘর পাননি কেন এমন প্রশ্নে ইকবাল হোসেন বলেন, ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী মোঃ গিয়াস উদ্দিন তার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চেয়েছেন। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় ঘরের তালিকায় তার নামটি প্রথমে থাকলেও তাকে ঘর দেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, এখান থেকে ২১ জনের যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে ৯ জনকে বাদ দিয়ে ১২ জানের নামে ঘর এসেছে। এই ৯ জনকে যদি মন্ত্রনালয়ই বাদ দিতো তাহলে প্রথম ১২ জন রেখে শেষের ৯ জয় বাদ পড়তো। কিন্তু এখানে তা হয়নি। বেছে বেছে আমার মতো গরীব ও অসহায়দেরকেই বাদ দিয়ে অর্থ সম্পদশালী মুক্তিযোদ্ধাদের নামেই এসেছে প্রতিটি ঘর।
তাই অর্থের দেনা-পাওয়ার বিষয়টি এখানে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে বলে তিনি জানান।
একই ভাবে তালিকায় দ্বিতীয়তে থাকা দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত সোবহান হাংয়ের পূত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন হাংও ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি সেনা বাহিনীতে কর্মরত থেকে মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। অর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বর্তমানে তিনি জ¦ড়াজির্ণ একটি ঘরে বসবাস করেন। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া তারতেমন আয় উপার্জন নেই। তাই দীর্ঘ দিন যাবত সরকারের কাছে একটি ঘরে করে আসলেও আদৌ ঘর পাওয়ার আশা তার পূরণ হয়নি। এবারের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বারে তার নামটি দেখে তিনি অনেকটা অনন্দিত হলেও মন্ত্রনালয় থেকে আসা ১২টি নামের মধ্যে তার নাম না থাকায় চরম হতাশায় ভুগছেন তিনি।
তালিকায় দ্বিতীয় নম্বারে থেকেও ঘর পাননি এমন প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন হাং তিনিও বলেন, ঘর আনতে মন্ত্রনালয়ে খরচ দিতে হবে।
এই মর্মে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী মোঃ গিয়াস উদ্দিন তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চেয়েছেন। তিনি টাকা দিতে অপারকতা প্রকাশ করায় হয়তোবা ঘর বরাদ্ধের তালিকা থেকে তার নামটি বাদ পড়েছে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুধু তালিকাই নয়, তাকিার মধ্যে ও এর বাহিরেও অস্বচ্ছল মুত্তিযোদ্ধা কাঞ্চন হাওলাদার, নুরুল ইসলাম ভুট্টু, মোঃ শানুমিয়া, কাঞ্চন মেম্বার, আমির হোসেন, সিদ্দিক শিয়ালী, কাসেম পোদ্দারসহ আরো বহু অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাতেই আসেনি।
শুধুমাত্র উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী মোঃ গিয়াস উদ্দিনকে টাকা দিতে না পারায়ই প্রকৃত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের। এমনকি বদলির চাকুরি হলেও দীর্ঘ ১৫ বছর একই চেয়ারে বসে উপজেলার সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ফাইল এই গিয়াস উদ্দিন কিভাবে দেখবাল করে এমন প্রশ্ন
এখন সর্বত্রে।
তবে ঘর দেয়ার নামে টাকা চাওয়া ও টাকা নেয়ার বিষয়টি সম্পুর্ণ অস্বীকার করে সমাজকর্মী মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এখানে যা কিছু হয়েছে কমিটির সদস্যদের মাধ্যমেই হয়েছে। আমার এখানে কোন হাত নেই। এদিকে বরাদ্ধকৃত ১২টি ঘরের অধিকাশং ঘরই প্রভাবশালী ও স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা পেয়েছেন এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া গেলো চমকে ওঠার মতো দৃশ্য।
দৌলতখান পৌর এলাকার বসিন্দা সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক শশি তিনি পেয়েছেন একটি ঘর। অথচ তার একমাত্র জামাতা একজন তহসিলদার। দুই ছেলের চাকুরিতেও পাচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। এমনকি যাচাই-বাছাই কমিটির তিনি একজন সদস্য হয়েও পৌর এলাকায় তার সেমিপাকা তার বিশাল বসত বাড়িটিকে টিনসেট দেখিয়ে নিজের নামে কিভাবে তিনি ঘর পেয়েছেন এমন প্রশ্নে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক শশি বলেন, আমার বসত ভিটার কাছাকাছি নদী চলে আসছে। হয়তো কোন একদিন এই জায়গা নদীর গর্ভে চলে যেতে পারে। তাই সরকারের কাছ থেকেতেমন আয় উপার্জন নেই। তাই দীর্ঘ দিন যাবত সরকারের কাছে একটি ঘরে করে আসলেও আদৌ ঘর পাওয়ার আশা তার পূরণ হয়নি। এবারের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বারে তার নামটি দেখে তিনি অনেকটা অনন্দিত হলেও মন্ত্রনালয় থেকে আসা ১২টি নামের মধ্যে তার নাম না থাকায় চরম হতাশায় ভুগছেন তিনি। তালিকায় দ্বিতীয় নাম্বারে থেকেও ঘর পাননি এমন প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন হাং তিনিও বলেন, ঘর আনতে মন্ত্রনালয়ে খরচ দিতে হবে।
এই মর্মে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী মোঃ গিয়াস উদ্দিন তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চেয়েছেন। তিনি টাকা দিতে অপারকতা প্রকাশ করায় হয়তোবা ঘর বরাদ্ধের তালিকা থেকে তার নামটি বাদ পড়েছে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুধু তালিকাই নয়, তাকিার মধ্যে ও এর বাহিরেও অস্বচ্ছল মুত্তিযোদ্ধা কাঞ্চন হাওলাদার, নুরুল ইসলাম ভুট্টু, মোঃ শানুমিয়া, কাঞ্চন মেম্বার, আমির হোসেন, সিদ্দিক শিয়ালী, কাসেম পোদ্দারসহ আরো বহু অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাতেই আসেনি।
শুধুমাত্র উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী মোঃ গিয়াস
উদ্দিনকে টাকা দিতে না পারায়ই প্রকৃত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের। এমনকি বদলির চাকুরি হলেও দীর্ঘ ১৫ বছর একই চেয়ারে বসে উপজেলার সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ফাইল এই গিয়াস উদ্দিন কিভাবে দেখবাল করে এমন প্রশ্ন
এখন সর্বত্রে।
তবে ঘর দেয়ার নামে টাকা চাওয়া ও টাকা নেয়ার বিষয়টি সম্পুর্ণ অস্বীকার করে সমাজকর্মী মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এখানে যা কিছু হয়েছে কমিটির সদস্যদের মাধ্যমেই হয়েছে। আমার এখানে কোন হাত নেই। এদিকে বরাদ্ধকৃত ১২টি ঘরের অধিকাশং ঘরই প্রভাবশালী ও স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা পেয়েছেন এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া গেলো চমকে ওঠার মতো দৃশ্য।
দৌলতখান পৌর এলাকার বসিন্দা সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক শশি তিনি পেয়েছেন একটি ঘর। অথচ তার একমাত্র জামাতা একজন তহসিলদার। দুই ছেলের চাকুরিতেও পাচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।
এমনকি যাচাই-বাছাই কমিটির তিনি একজন সদস্য হয়েও পৌর এলাকায় তার সেমিপাকা তার বিশাল বসত বাড়িটিকে টিনসেট দেখিয়ে নিজের নামে কিভাবে তিনি ঘর পেয়েছেন এমন প্রশ্নে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক শশি বলেন, আমার বসত ভিটার কাছাকাছি নদী চলে আসছে। হয়তো কোন একদিন এই জায়গা নদীর গর্ভে চলে যেতে পারে। তাই সরকারের কাছ থেকেআগেবাগেই একটি ঘর নিয়েছি। তবে নিজের দুটি ছেলের একটিকেও সরকারি চাকুরি দিতে না পেরে অনেকটা দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
যাচাই-বাছাই কমিটির আরেক সদস্য দৌলতখান পৌর সভার সাবেক প্যানেল
মেয়র ও বর্তমান ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোছলেউদ্দিনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা
আবুল ফারাহ নিজে সেমিপাকা দুটি ঘরে বসবাস করলেও ভাড়া দেন আরো কয়েটি ঘরবাড়ি। এমনকি পৌর এলাকায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ থাকলেও তেমন কিছু নেই উল্লেখ করে তিনিও নিজের নামে নিয়েছেন একটি ঘর।
স্বচ্ছল হয়েও তিনি অস্বচ্ছল ঘরের তালিকায় নিজের নামটি কেন রেখেছেন এমন প্রশ্নে মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফারাহ বলেন, আমরা এখন ঘর নিলেও এক এক করে সকল মুক্তিযোদ্ধারাই ঘর পাবে। এটা নিয়ে হতাশা হওয়ার কিছুই নেই।
একই ভাবে ঘর নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন। তার দুই ছেলের একজন চাকুরি করছেন সরকারি খাদ্য গোডাউনে, অপরজন প্রাইমারিতে। এমনকি তিনিও প্রাইমারিতে দপ্তরি পদে চাকুরী করে এখন অবসরে গিয়ে রীতি মতোই ভাতা পাচ্ছেন। বহু জায়গা-জমির মালিক হয়েও নিজের নামে ঘর পাওয়ার খবরে বহু মুক্তিযোদ্ধারাই হতবাক।
এছাড়া হায়বৎ জাং চৌধুরী, ইসমাইল হোসেন খলিফা, মোঃ আলী, পঙ্গু কালামিয়া, মোঃ হানিফসহ আরো অনেকে প্রকৃত পক্ষে স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হয়েও নিজেদেরকে অস্বচ্ছল দেখিয়ে ঘর নেয়ার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা ব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
সৈয়দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্সি ওবায়দুল হক রতন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সনদতো এখন ব্যবসায়ে পরিনত হয়েছে। এই সনদ পেতে এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের তলিকায় নাম বসাতে মানুষ এখন লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছে। কেননা এক সময়ের ৩/৪ হাজার টাকার ভাতা এখন ২০ হাজার টাকা হয়েছে। তাছাড়া অন্যন্ন সুযোগ সবিধাতো আছেই। তাই এই যায়গাটায় এখন দুর্নীতিতে ভড়ে গেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বলেন, ২০০১ সালের দিকে দেখেছি পুরো উপজেলায় ৮৫ মুক্তিযোদ্ধার নাম। এরপর থেকেই দিনে দিনে মুক্তিযোদ্ধা কোথা হতে যেন ভেষে ওঠে। বর্তমানে এর সংখ্যা ২৯৯টিতে দাড়িয়েছে।
এর সাথে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজস্ব রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
তবে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের স্থানে স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার নাম চলে আসার এমন
কিছু ঘটলে প্রযোজনে এই তালিকা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার। তিনি বলেন, ঘর বরাদ্ধ হয়ে টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হয়েছে মাত্র। এখনো নির্মাণ কাজের অনুমতির বিষয়টি ছাড়াও দাপ্তরিক কিছু কাজকর্ম রয়েছে। তার আগে প্রয়োজনে নতুন করে যাচাই বাছাই করে এই ঘরের তালিকায় যদি স্বচ্ছল কোন মুক্তিযোদ্ধা থাকে, প্রয়োজনে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন করে প্রকৃতঅস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ঘর দেয়া হবে। এমনকি ঘর বিতরণে কোন ধরনের
অনিয়মের সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *