Shadow

ভোলার মেঘনা- তেঁতুলিয়া নদীতে বিতর্কিত মাঝি নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের অভিযান ।

মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন : ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে হয়েছে ভোলার মেঘনা- তেতুলিয়াসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা অভিযান। এ নিষেধাজ্ঞা ২ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছরের মত এবারও ইলিশ শিকার, পরিবহন ও বিপনন বন্ধ থাকবে। আর নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান পরিচালনার জন্য ইলিশা, রাজাপুর, রামদাসপুর সংলগ্ন মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে রাজাপুর ঘাট থেকে মৎস্য কর্মকর্তারা নৌকা টেম্পু যোগে নদীতে অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। এসুবাদে স্থানীয়ভাবে রাজাপুর ৪নং ওয়ার্ডের মহিজল এর ছেলে বিতর্কিত ইমন মাঝি এবারও মৎস্য কর্মকর্তাদের আয়ত্তে নিয়ে তাদের সাথে অভিযানে অংশ নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, অভিযানের সময় আমার অফিসের কোন স্টাফও যদি দূর্নীতিতে জড়িয়ে পরে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। তাছাড়া নদীতে অভিযানের ব্যপারে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। নদীতে অভিযানে যাওয়ার ব্যপারে ইমন মাঝি সম্পর্কে খোজ খবর নেয়া হবে। এদিকে মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে নদীতে অভিযানে গিয়ে ইমন মাঝি বিভিন্ন মাঝিদেরকে চাঁদার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আবার সুবিধা দেয়ার নামে বিভিন্ন জেলেদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইমন মাঝি গত অভিযানের সময়ও মৎস্য কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জেলেদেরকে জিম্মি করে বিপুল পরিমান অর্থ এবং মাছ ধরার জাল হাতিয়ে নিয়েছে। আবার জেলেদের কাছ থেকে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে ঐ জেলেদেরকে অভিযানের আগাম খবর জানিয়ে দিয়েছে। ফলে অভিযানের কোন সাফল্য পায়নি সরকার। একই কায়দায় এবারও মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা জীবন বাবুকে ম্যানেজ করে আসন্ন অভিযানে ইমন মাঝির টেম্পুসহ অভিযানে যাচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মাঝি ইমন দীর্ঘ দিন যাবত মেঘনার অন্যতম জলদস্যু জাকির ওরফে মেঘনা জাকিরের সাথে থেকে জলদস্যুতার কাজে তার টেম্পু ব্যবহার করে আসছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জেলেদেরকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় ও হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে।
রাজাপুর ঘাটে সম্প্রতি বানিজ্য মন্ত্রীর  হারুন নামের দুঃসম্পর্কের এক ভাতিজা ব্যবসা করছেন। ঐ ভাতিজার সাথে ইমন মাঝির গভীর সম্পর্ক থাকায় তার দাপট দেখিয়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নদীতে অভিযানে তার টেম্পু ব্যবহার করতে বাধ্য করাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জনান। ইতিপূর্বে ইমন মাঝির বিরুদ্ধে ভোলার সাবেক জেলা প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করে লিখিত আবেদন করেছিলেন কয়েকজন ভূক্তভোগী। তবে তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমান জেলা প্রশাসক ইমন মাঝির বিরুদ্ধে তদন্তমূলক ব্যবস্থা নিবেন বলে সাধারণ জেলেরা আশা প্রকাশ করছে। অভিযুক্ত মাঝি ইমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *