ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রবাসীদের স্ত্রীসহ বিভিন্ন নারীরা অবাধ পরোকীয়ায় জড়িয়ে এলাকার সমাজ ব্যবস্থা দূষিত করে দিচ্ছে। এসব ঘটনা নিয়ে অনেকের সংসার জীবন নিয়ে এখন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আবার কোন কোন জায়গায় পরোকিয়া প্রেমিকের সাথে অনৈতিক কাজে মিলিত হওয়া অবস্থায় প্রেমিক লম্পটদেরকে হাতে-নাতে ধরে গণধোলাই দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ডের বয়াতি বাড়ীর সৌদি প্রবাসী আঃ রব এর স্ত্রী নুরজাহান বেগম ঘুইংগার হাট বাজারের উত্তর পাশে ০১নং ওয়ার্ডের চরকুমারিয়া গ্রামের সরদার বাড়ীর জাহাঙ্গির এর ছেলে লম্পট কবিরের সাথে দীর্ঘ ২ বছর ধরে পরোকিয়া করে অবাধ মেলামেশা করে আসছে। গত ২১ জানুয়ারী রাতে কবির প্রবাসীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের সাথে অবৈধ ভাবে অসামাজিক কাজ করা অবস্থায় স্থানীয়রা হাতে-নাতে ধরে জুতা-ঝাড়ু পেটা করে গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে লম্পট কবির রাতের অন্ধকারে জনতার মধ্য থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, নুরজাহান বেগম কবিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাসা ও অন্যান্য জায়গায় গিয়ে দৈহিক মেলামেসা করে আসছে। কবির ছাড়াও বাংলাবাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে পরোকিয়ার সম্পর্ক রয়েছে নুরজাহান বেগমের। এদিকে লম্পট কবির নুরজাহানের সাথে পরকিয়ার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মহল বিশেষের মাধ্যমে তদবির চালাচ্ছেন। কবির এরকম অনেক ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী এলাকা উত্তর জয়নগর ০২নং ওয়ার্ডের বেলদার বাড়ীর লোকমান হোসেন (লুকু) বেলদার (৪০), একই এলাকার এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত (লুকু) বেলদার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মাধ্যমে দেন-দরবার চালাচ্ছেন। কিশোরী মেয়েটি ঘটনার পর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের ফলে অসুস্থ হয়ে পরেছে।
অপরদিকে নতুন মসজিদ এলাকায় আমিনুল বিশ্বাসের পুত্রবধুকে গর্ভাবস্থায় তালাক দেয় তার স্বামী আব্বাস। তালাকের ইদ্দত পূর্ণ না হলেও ঐ স্ত্রীকে বিবাহ করে তার আপন ছোট ভাই ইউসুফ। ছোট ভাই ইউসুফের সাথে বিয়ের দুই মাস পর ঐ স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ইউসুফের সাথে তার ভাবীর পরোকিয়া থাকার কারণে বড় ভাই আব্বাস তার স্ত্রীকে গর্ভাবস্থায় তালাক দেয়।
এ ব্যাপারে আমিনুল বিশ্বাস জানান, যা হবার হয়েছে এখন আর করার কিছুই নেই। এলাকাবাসী সমাজ ব্যবস্থা রক্ষার জন্য দোষীদের সঠিক বিচার দাবী করছেন। এসব ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।