Shadow

মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভোলায় মেয়ের নির্যাতনের বিচার চাওয়ায় চাঁদাবাজি ও ডাকাতি মামলা

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুরে এক অসহায় বাবা মেয়ের শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো ডাকাতি ও চাঁদাবাজি মামলার শিকার হয়েছেন। জুয়ায় আসক্ত জামাই ও তার পরিবার মেয়ের বাবা আঃ ওহাবকে হুমকী-ধামকী, অপমানসহ নানাভাবে হয়রানী করে যাচ্ছে। তিনি ১২ বছর ধরে স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করে আসছে।

বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলনে মো. আঃ ওহাব লিখিত বক্তব্যে এ সকল অভিযোগ করেন।
লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে আ. ওহাব বলেন, তিনি রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কন্দকপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার মেয়ে জান্নাত বেগম (২৬) কে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আবুল কাশেম (৩১) এর নিকট ২০০৮ সালের ১০ডিসেম্বর বিয়ে দেন। বিয়ে রেজিষ্ট্রি হওয়ার পরে, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার পূর্বে কনে পক্ষের কাছে ছেলে পক্ষ ২লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। পরে স্থানীয়রা বসে ৫০ হাজার টাকা মিমাংসা করে দেয়। এরপর থেকে কয়েক বছর ভালোভাবে সংসার চলে আসছে। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে । গত দুই বছর ধরে জামাই আবুল কাশেম আবারও দুই লাখ টাকা দাবি করে। কারণে অকারণে মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো শুরু করে। বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাইকে ৮০ হাজার টাকা দেন। আবুল কাশেম ওই টাকা জুয়া খেলে নষ্ট করে আবার টাকা দাবি করে স্ত্রীকে মারধর করে। কিন্তু ইমাম সাহেবের পক্ষে টাকা দেওয়া অসাধ্য হয়ে পরায় আবুল কাশেম স্ত্রী-সন্তানকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে মেয়ে ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৬জুলাই একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। (মামলা নম্বর-সি আর,২৯৫/১৭ ইং) এ মামলার পরে জামাই পক্ষের ৮-১০ জন তাঁর বাড়িতে আসেন সমঝোতার জন্য।
আ. ওহাব আরও বলেন, ১৫ জুলাই তাঁর বাড়িতে বসা সালিশে জামাই পক্ষ পুনরায় ২ লাখ টাকা দাবি করেন। তখন মেয়ে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে সালিশের মধ্যেই জামাই আবুল কাশেম, তার ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. সজীবসহ ৩-৪ জন মিলে এলোপাতাড়ি মারধর করে মেয়েকে গুরুতর জখম করে। মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরলে জামাইপক্ষ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এঘটনায় মেয়ে জান্নাত বেগম বাদী হয়ে ১৭ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
আঃ ওহাব বলেন, এ ঘটনার পরে মেয়ের জামাই আবুল কাশেম গত ১৮জুলাই ও তার ভাই মো. সজিব নেগাবান ২১ জুলাই বাদি হয়ে ঘের ডাকাতি ও চাঁদবাজির অভিযোগে দুটি মিথ্যা মামলা করে। একই সঙ্গে ২১জুলাই তার বাড়িতে এক দল সন্ত্রাসী এসে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে মামলা তুলে নিতে হুমকী দেয়। এ অবস্থায় তারা শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করতে ফোন দিলে আবুল কাশেমের মুঠোফোন বন্ধ থাকলেও তার ভাই মো. সজীব নেগাবান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আঃ ওহাব সরদার আমার কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই টাকা না দেওয়ায় আঃ ওহাবের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ঘেরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং তার ভাইকে কুপিয়ে জখম করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *