Shadow

রামগঞ্জ থানার দালালের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

প্রয়াস নিউজ,রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার দালাল ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে প্যাড ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দেহলা জেবিএম ব্রিক ফিল্ডের মালিক  জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে  থানা একটি অবিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত ফারুক হোসেন সোনাপুর গ্রামের কামার বাড়ির মনির হোসেনের পুত্র।
সুত্রে জানায়, রামগঞ্জ থানার দালাল ফারুক হোসেন ২০১৬ জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী মাসে উপজেলার দেহলা গ্রামের জেবিএম বিক্স ফিল্ডের মালিকের নিকট থেকে ৭ লক্ষ টাকার  ইট ও কংকর ক্রয় করে। এর মধ্যে ২ লক্ষ পরিশোধ করলেও বাকী ৫ লক্ষ পরিশোধ না করে নানা অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। জাহাঙ্গীর হোসেন বাকী টাকার জন্য জোরালভাবে চাপ সৃষ্টি করলে, ফারুক হোসেন প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে জেবিএম ফিল্ডের প্যাড ও মালিকের স্বাক্ষর জাল করে। বিষযটি জানতে পেরে  জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে  মঙ্গলবার থানায় জালিয়তির একটি অভিযোগ দায়ের করে।
বুধবার সকালে ফিন্ডের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ফারুক হোসেন দেহলা গ্রামের তার শ্বশুর মুকবুল হোসেনকে জিম্মা দেখিয়ে  ফিল্ড থেকে ৫ লক্ষ টাকার ইট ও কংকর বাকী নেয়। টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে রামগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সোলাইমান চৌধুরীকে প্রভাবিত করে কয়েকবার মোবাইলে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়। শেষ পর্যন্ত ওসি তদন্ত কর্তৃক স্বাক্ষরিত আমার বিরুদ্ধে একটি নেটিস জারী করে। নেটিস পাওয়ার পর জানতে পারি আমার প্যাড ও স্বাক্ষর  জাল জালিয়তি করা হয়েছে।  তাই আমি বাদি হয়ে ফারুক ও তার শ্বশুর মুকবুলের বিরুদ্ধে পাওনা আদায় এবং প্যাড ও  স্বাক্ষর জাল করায় অপরাধে একটি অভিযোগ দায়ের করি। ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন থানায় দালালি কারনে উল্টো আমার বিরুদ্ধে  থানায় এ অভিযোগ দেয়।এব্যাপারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্ত ফারুক হোসেনকে পাওয়া যায়নি।রামগঞ্জ থানা ওসি (তদন্ত) সোলাইমান চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করার পুর্বে কিছুই বলতে পারবো। থানার ওসি মোঃ তোতা মিয়া বলেন,ফিন্ডের মালিক জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে প্যাড ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে এজাহার দায়ের করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফারুক হোসেনের কোন অভিযোগ আমি দেখি নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *