রামগতি,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতির ৪ নং আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা বিএপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসন।
এ মনোনয়ন নিয়ে তৃনমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধায় উপজেলা কার্যালয়ে এ ঘোষনা দেন উপজেলা আ”লীগের নেতারা।
দলীয় কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে তাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য।
মনোনীত আনোয়ারকে নিয়ে রয়েছে নেতাকর্মীদের তীব্র ক্ষোভ। তার শো-ডাউনে পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর তালুকদার সহ অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে দেখা যাওয়ায় ক্ষোভ আরো জ¦লে উঠে।
বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ নেতা বিএনপির মনোনীত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন এবং ২০০১ ইং সালে ইউপি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদন্দিতা করে আওয়ামীলীগে মনোনীত প্রার্থী এ কে এম আহাম্মদ উল্যা মজনু মাষ্টারের সাথে পরাজিত হন। তিনি আ”লীগের নেতা কর্মীদের মামলা হামলা, নির্যাতন, মসজিদে মসজিদে আ”লীগের বিরূদ্ধে ফতোয়া দেয়া এবং বিএনপির জনসভায় আ”লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অত্যন্ত গর্হিত বক্তব্য রাখার অভিযোগ রযেছে। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্ত করে এ বিএনপি নেতার মনোনয়ন বাতিল করে দলের ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দেয়ার দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশিল মোতাবেক আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের সাধারন নির্বাচন।
নির্বাচনে আ”লীগ থেকে মনোনযন প্রত্যাশা করেছেন দলের ত্যাগী নেতা, বৃহত্তর রামগতি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, লগী বৈঠার আন্দোলনের অন্যতম নেতা, বর্তমান উপজেলা আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাছের। উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন ভিপি হেলাল, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ”লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক একে আহাম্মদ উল্রা মজনু মাষ্টার। বিএনপি থেকে মো: বাহার। জেএসডি থেকে মেহেদী হাছান হাছান মাষ্টার।
আ”লীগের মনোনয়ন নিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আ’লীগের প্রভাবশালী নেতারা প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল করা, সুবিধাবাদী ও মুসলমিলীগার আনোয়ারকে মনোনীত করেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু নাছের বলেন, ছাত্রজীবন থেকে ৩০ বছর রাজনীতি করি কখনো দল ছেড়ে যাইনি। সুযোগ সন্ধানী এ নেতাকে বাদ দিয়ে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মধ্য থেকে আমাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্ররি হস্তক্ষেপ কামনা করি।