Shadow

রোটেশন প্রথা বাতিলের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছেন চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক

এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা ॥ দীর্ঘ দিন যাবত ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে রোটেশন প্রথার মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীদের জিম্মী করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ। এই রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবীতে গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে সাধারণ যাত্রীদের পক্ষে গত রবিবার রায় দেন মহামান্য আদালত। রোটেশন প্রথা বাতিল হওয়ায় ভোলার সাধারণ যাত্রীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। দ্রুত এ রায় বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছেন জেলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম।
রোটেশন প্রথা বাতিল হওয়ায় গত সোমবার জেলা আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ ভবনের ৩য় তলায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাগ্নে, জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সুশীল সমাজের একদল প্রতিনিধি আলোচনা সভা ও মতবিনিময় করেছেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন এডভোকেট নুরুল আমিন নুরনবী, মোঃ শাহজাহান, অতিন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, পিপি এডভোকেট গোলাম মোর্শেদ কিরন তালুকদার, এপিপি সোয়েব হোসেন মামুন প্রমূখ। এ সময় বক্তারা এই রায়কে অবশেষে সাধারণ মানুষের বিজয় এবং ভুক্তভোগী যাত্রীদের দাবী বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে অভিহিত করেন। জনগণের পক্ষে এই রায় দেয়ায় সেখানে উপস্থিত সবার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ সময় তারা এই রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকের কাছে।
এ প্রতিনিধির সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে রোটেশন প্রথার মাধ্যমে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ভোলার মানুষকে দীর্ঘদিন যাবত জিম্মী করে রেখেছিল। তারা মানুষকে মানুষই মনে করতো না। সাধারণ যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করত এবং তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করত। যদি কেউ এর প্রতিবাদ করতো, তাহলে তাকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করা হতো। তাই এই লঞ্চ রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবীতে সচেতন নাগরিকের ব্যানারে সাধারণ যাত্রীদের পক্ষ হয়ে গত বছরের ২১ নভেম্বর চীফ জুডিসিয়লা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের কনের রুহুল আমিন কুট্টি। ওই মামলার প্রেক্ষিতে গত রোববার মহামান্য আদালত সাধারণ যাত্রীদের পক্ষে রায় দেন। এই রায়ে ভোলাবাসী আনন্দিত। তিনি দ্রুত এই রায়কে বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক মহোদয়ের কাছে দাবী জানিয়েছেন। তা হলে কিছুটা হলেও ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া ওই সভায় ভোলা জেলখানায় আসামীদের সাথে দূর-দুরান্ত থেকে আগত তাদের স্বজনরা দেখা করতে আসা লোকজনদের কাছ থেকে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা নেয়া এবং তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ তোলা হয়। এ বিষয়ে চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, যারা দূর-দুরান্ত থেকে দেখা করতে আসেন, তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন আইন নেই। যারা টাকা নিচ্ছেন এবং হয়রানি করছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকের দাবী জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *