Shadow

শিগ্রই দেখবেন সুদ খাওয়ার ভয়ানক পরিনতি নিয়ে ইসলামিক নাটকpruasnews 24 অনলাইন নিউজ চ্যানেল এ

প্রাথমিক অবস্থায় মানুষ অভাবের তাড়নায় সুদি লেনদেনে জড়িয়ে পড়লেও এখন তা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। যার ফলে এখন আর একে অপরাধ মনে করা হয় না। অথচ হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে— : হজরত জাবির (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল (সা.) সুদ গ্রহীতা, দাতা ও সুদি কারবারের লেখক এবং সুদি লেনদেনের সাক্ষী— সবার ওপর লানত করেছেন। (মুসলিম, হাদিস ৪১৩৮)। রসুলের (সা.) পক্ষ থেকে এত বড় হুঁশিয়ারি আসার পরও আজ আমরা এ জঘন্য অপরাধ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারছি না। যার কারণে আমরা এতটাই অধঃপতনের শিকার যে আমরা গুনাকে গুনা-ই মনে করি না। হজরত ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান (রহ.) বলতেন, ‘গুনা থেকে বিরত থাক! যদি কোনো কারণে গুনা হয়েও যায় তবে তাকে গুনা মনে কর! অন্যথায় তুমি তওবার সুযোগও পাবে না।

এ জঘন্য কাজের শাস্তি কতটা ভয়াবহ হবে তার চিত্র আল্লাহ তায়ালাই কোরআনে উপ স্থাপন করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে : যারা সুদ খায়, তারা তার মতো (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হলো, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওয়ালা। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী-জাহান্নামি। তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে। (সুরা বাকারা, আয়াত ২৭৫)। এখনো সময় আছে : কোরআনের ইরশাদ : আর যদি তোমরা সুদ পরিত্যাগ না কর তবে আল্লাহ এবং তাঁর রসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও। আর যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা জুলুম করবে না এবং তোমাদের জুলুম করা হবে না। (সুরা বাকারা, আয়াত ২৭৯)। সুদ খাওয়া বা দেওয়া আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ করার নামান্তর। যারা সুদের লেনদেন করবে তারা অভিশপ্ত। কিন্তু আল্লাহ অধিক দয়ালু। তিনি আমাদের রক্ষার জন্য হাজারো পথ রেখে দিয়েছেন। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অপরাধ হয়ে গেলেও আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য তওবার পথ রেখে দিয়েছেন।

(অনেক জানা-অজানা বিষয় জানতে আমাদের ইউটিউব লিঙ্ক:pruasnews 24 অনলাইন নিউজ চ্যানেল এর সাথে থাকুন )

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *