Shadow

হেলিকপ্টার নাকি মোটরসাইকেল!

বাইকার’রা তাদের বাইকের গতি বাড়াতে এবং অন্যদের থেকে নিজের বাইককে একটু আলাদা করতে বাইকে নানান প্রযুক্তি সংযুক্ত করেন। এবার মোটরসাইকেল বিশেষজ্ঞ ক্রিস মিন্নি এমন এক মটরসাইকেল নিয়ে কাজ করছেন যার ইঞ্জিনে তিনি সংযুক্ত করেছেন ৪২০ হর্সপাওয়ারের হেলিকপ্টার টারবাইন!

মোটরসাইকেলে রকেট ইঞ্জিন সংযুক্তির ঘটনা আগে ঘটলেও হেলিকপ্টার ইঞ্জিন সংযুক্ত করার ঘটনা আগে দেখা যায় নি। নিউজিল্যান্ডের মোটরসাইকেল বিশেষজ্ঞ এবং মোটর রাইডার ক্রিস মিন্নি দীর্ঘদিন ধরে মোটরবাইকের ইঞ্জিনে উন্নয়ন করা নিয়ে কাজ করে আসছেন। বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন বাড়তি যন্ত্রাংশ সংযুক্ত করে মোটর বাইকের গতি এবং ক্ষমতা উভয় বাড়িয়েছেন। তবে এবার ক্রিস মিন্নি কাজ করছেন মোটরসাইকেলে সম্পূর্ণ আলাদা একটি প্রযুক্তি সংযুক্তি নিয়ে, যা আগে কেউ করার সাহস দেখায়নি।

ক্রিস মিন্নি তার ভিন্নরকম এই চিন্তা কাজে লাগাতে ব্যবহার করেছেন ‘ট্রায়াম্ফ’ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল। ‘ট্রায়াম্ফ’ এমনিতেই ভারি মোটরযান, এবং হেভি বাইকারদের প্রথম পছন্দ। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ক্রিস মিন্নি তার ‘ট্রায়াম্ফ’ মোটরসাইকেলটিকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি এই মোটরসাইকেলে ৪২০ হর্সপাওয়ারের হেলিকপ্টার টারবাইন সফল ভাবে বসিয়ে দিয়েছেন। তিনি ট্রায়াম্ফ’ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলটির মূল কাঠামোর ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। মিন্নির পরিবর্তিত কাঠামোতে তিন সিলিন্ডার মোটরসাইকেল ট্রায়াম্ফ রকেট থ্রি মডেলটিতে প্রায় ৪০ লিটার জ্বালানি রাখা যাবে। তবে ৪০ লিটার জ্বালানি দিয়েও এই মোটরসাইলেক চলবে মাত্র ১ ঘণ্টা!

৪০ লিটার জ্বালানি দিয়ে মাত্র ১ ঘণ্টা চলবে? বিষয়টি শুনেই নিশ্চয়ই বুজতে পারছেন এই মোটরসাইকেলের গতি কেমন হবে! এর সর্বোচ্চ গতি হবে ২৬০ কিলোমিটার, তাও ওয়ান টু ওয়ান গিয়ারে! ক্রিস মিন্নি মূলত এই বাইক তরি করেছেন রেসে অংশ নেয়ার জন্য।

এতে ব্যবহার করা হেলিকপ্টার টার্বাইনটি উচ্চ ক্ষমতার হওয়াতে বাইকটি চলার সময় খুব বেশি শব্দ করে, তবে ক্রিস জানিয়েছেন তিনি বাইকের শব্দ হওয়ার বিষয়ে কাজ করছেন, এটি কমিয়ে আনা যাবে। এছাড়া বাইকটিতে আরেকটি সমস্যা হচ্ছে এটি চালু হতেও একটু সময় নেয়। তবে মিন্নি জানিয়েছেন এটি রাস্তায় চালানোর আগে সব কিছুই সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে।

আপনি কি ভাবছেন মোটরসাইলেকটি কিনবেন? তবে ভুলে যান ক্রিস মিন্নি এটি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তৈরি করছেন না। তিনি কেবল ব্যক্তিগত রেসে ব্যবহারের উদ্দেশ্য নিয়েই পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এই মোটরসাইলেক তৈরি করছেন, যা অর্থের দিক দিয়ে অমূল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *