Shadow

সরকারি -বেসরকারি চর দখল করে কোটিপতি দক্ষিণ দিঘলদীর নুরু মেম্বার

মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন:-

নুরু মেম্বার ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের একটি আতঙ্কিত নাম। যার নাম শুনলেই আতকে উঠে ওই অঞ্চলের মানুষ। ভোলার উত্তরে মেহন্দিগঞ্জ, পশ্চিমে বাউফল এবং দক্ষিণে বোরহানউদ্দিনের সীমান্ত নিয়ে যার একচ্ছত্র রাজত্ব চলছে বীরত্বের সাথে। যখন যা খুশি তা বাস্তবায়ন করেন তিনি। তেতুলিয়া নদীতে জেগে উঠা সরকারি -বেসরকারি চরের দখল বানিজ্য ও জলদস্যুতা, কৃষকের জমি জবর দখল চোরাকারবারি,সৃজনশীল জাটকা ইলিশ ও বাগদা চিংড়ি (রেনুপনা) নিধন ও পাচার, নারী ধর্ষণ ও চাদাবাজিসহ ভয়ঙ্কর অপরাধের মুহ্যমান মানব এই নুরু মেম্বার।
প্রথবার মেম্বার হওয়ার পর তার হাতে এত তাড়াতাড়ি আলাদিনের চেরাগ আসবে তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারেনি। আলাদিনের চেরাগ পেয়ে নুরু মেম্বারকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে সে এখন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।

খুব দ্রুত সময়ে জায়গা জমি,বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন নুরু। বর্তমানে নুরু মেম্বার প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মালিক বলে এলাকার লোকজন মন্তব্য করেছেন।

সরেজমিনে জানাগেছে, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার নুর মোহাম্মদ (নুরু) বিগত কয়েকবছর ধরে তেতুলিয়া নদীতে জেগে ওঠা সরকারি বেসরকারি প্রায় ১০ হাজার একর চরের জমি জবর দখলে নিয়ে কোটি কোটি টাকা বানিজ্য করে আসছেন । শত শত কৃষক ও জেলেদের জিম্মি করে দলের প্রভাব খাটিয়ে এসব অপকর্ম করে আসছে।
অপরদিকে তেতুলিয়া নদীতে বিশাল জলদস্যু বাহিনী তৈরি করে তাদের মাধ্যমে নৌ-ডাকাতি এবং চরে পালিত মহিষ গরু ডাকাতি করে এনে তা বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে নুরু মেম্বার। সেখানকার একাধিক কৃষক জানায়,নুরু মেম্বার খুবই ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোক। তাকে চাঁদা দেয়া ছাড়া চরে চাষাবাদ এবং গরু মহিষ পালন করা যায়না। আর জেলেরা নৌকা টেম্পো ও জালের ধরন অনুযায়ী নুরু মেম্বারকে চাঁদা দিয়ে মাছ ধরতে হয়। তার ক্ষমতার কাছে কয়েকশত পরিবার জিম্মি। তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না।
স্থানীয়রা জানান,এক সময়ে নুরু মেম্বার পরিবিরের লোকজন নিয়ে চরম দৈন্য দিশার মধ্যে দিনাতিপাত করত। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে নুরু এখন অঢেল সম্পত্তির মালিক। দলের সাইনবোর্ডকে পুঁজি করে নুরু মেম্বার বছরে কামাচ্ছেন প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি। টাকার গরমে সে বিভিন্ন জায়গায় হুংঙ্কার দিচ্ছে যে,দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে তার একদিনের ইনকামই যথেষ্ট। যদিও তিনি বর্তমানে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে উপ – নির্বাচনে অংশগ্রহন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ ছালেম।
ওই ওয়ার্ডের একাধিক ব্যক্তি জানায়,সুষ্ঠু ভোট হলে ছালেম বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে। কারন,নুরু মেম্বার হচ্ছে নারী নির্যাতনকারি,চাদাবাজ,ও জলদস্যু। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
নুরু মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
এব্যপারে নুরু মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন ব্যক্তির জমি দখল করেননি বলে জানান। এসব অপপ্রচার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *