Shadow

স্বামীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ৮ সহজ উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিবাহিতদের মনের সব থেকে বড় আক্ষেপ কী বলুন তো? বেশিরভাগই বলবেন, স্বামী যদি আমার কথা একটু শুনত! আক্ষেপ এতটাই যে, সে কথা রেল, বাস, ট্রাম কোথাও চাপা থাকে না। নারীদের না-কি সব আড্ডাই শেষ হয় এই বিষয়ে গিয়ে। কিন্তু আক্ষেপ করলেই চলবে। সংসার বড় জটিল। শুধু শাসন করে গিন্নীপনা ফলিয়েছেন কি পা পিছলে পড়বেন। খুব হিসেব কষে চলতে হবে বৈকি। নিচে রইল স্বামীর মন জয় করার ৮টি উপায়।
তার অনুভূতির খেয়াল রাখুন : কথায় আছে মেয়েরা নাকি মন পড়তে ওস্তাদ। যদি তাই হয়, আপনার মধ্যে এই লুকিয়ে থাকা গুণটা কাজে লাগান। চট করে স্বামীর মন পড়ে ফেলুন। সে কী চায়? তার ভাল লাগা, খারাপ লাগা আগেভাগেই বুঝে নিন। তার সব কথার বিপক্ষে কথা বলে খুব বেশি চটাতে যাবেন না তাকে। বরং তার পছন্দের বই মাঝে মধ্যে গিফট করুন। অফিস থেকে ফেরার আগেই তাঁর প্রিয় খাবারটা তৈরি করে ফেলুন।
মাঝে মধ্যে উৎসাহ দিন : মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। হতেই পারে হাজারো সাবধান করা সত্ত্বেও বর কোনও সাংঘাতিক ভুল করে ফেলছেন। কষ্ট হবে তবুও নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। চোখ পাকিয়ে রে রে করে উঠবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। বরং তাঁকে কাজে উৎসাহ দিন। পরে সময় মতো বুঝিয়ে বলুন।
সব সময় নরম নয় : আপনার নরম মনোভাব স্বামী পছন্দ করবেন ঠিকই। এর জন্য হয়ত দিনের শেষে কপালে প্রশংসাও জুটবে। তবে আদপে কিন্তু আপনারই ক্ষতি। হাত থেকে ফসকে যাবে অনেক কিছুই। তাই সব সময় স্বামীর হ্যাঁ-তে হ্যাঁ আর না–তে না মেলাবেন না। নিজের যুক্তি দেখিয়ে প্রতিবাদ করুন।
তার প্রতি অনেক বেশি সেনসিটিভ হন : ছেলেরা সাধারণত মেয়েদের থেকে অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকেন। সেক্স লাইফে আপনি যদি সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন তাহলে তার জন্য নিজেদেরকেই দায়ী করে থাকেন হয়ত। যা তাকে মানসিক ভাবে ভেঙে ফেলতে পারে। নিজের মনের মধ্যে কথা চেপে না রেখে তাকে বোঝান আপনি কতটা সুখী।
পরামর্শ দিন : কাজের চাপে যে গুলো ভুলে যান সেগুলোকে মনে করিয়ে দিন। যেমন ধরুন তাকে এটা মনে করিয়ে দিলেন ফোনে মায়ের খোঁজ-খবর নেওয়া উচিত। কিংবা তার পোর্টফোলিও-তে এ বার একটু বদল আনা দরকার। তাকে জানান, কোন কোন কোম্পানিতে তিনি ইন্টারভিউ দিতে পারেন।
ঘরের কাজেও তাকে দায়িত্ব দিন : শুধু অফিস আর বাইরের কাজ নয়, সপ্তাহে অন্তত এক দিন তার উপরই ঘরের বেশিরভাগ কাজটা ছেড়ে দিন। যেমন ধরুন লাঞ্চে কী খাবেন সিদ্ধান্ত আপনি নিন। কিন্তু রান্নার দায়িত্ব সম্পূর্ণ বরকে দিন। তেমনই ঘর পরিষ্কার এবং গুছানোর কাজটাও না হয় এক দিন তার উপরই ছেড়ে দিলেন। তবে অবশ্যই তদারকি করতে ভুলবেন না।
বদভ্যাস তাড়ান : চোখে আঙুল দিয়ে তাকে তার বদভ্যাসগুলো দেখিয়ে দিন। বার বার বলা সত্ত্বেও যদি বদভ্যাস না ছাড়েন তাহলে প্রয়োজনে কড়া কথা বলতেই হবে।
সম্মান করুন : আগেই বলেছি, সারাদিন বরের উপরে খিট খিট করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিজেকে তার দ্বিগুণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খিটখিট, ভুল করলে চোখ পাকানো বা কড়া কথা তো চলতেই থাকবে। এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে আপনার সব কথা কলুর বলদের মতো স্বামী মেনে চলবেন। দিনের শেষে কিন্তু বরকে এটা বোঝানো মাস্ট যে আপনি তাকে কতটা সম্মানের চোখে দেখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *