ঢাকা: তথ্য প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) ৫৭ ধারার পরিবর্তে নতুন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) প্রণয়ন করা হচ্ছে। ৫৭ ধারা নিয়ে সাধারণের মনে যত প্রশ্ন রয়েছে তার সঠিক জবাব নতুন আইনটিতে পাওয়া যাবে। এমনটি জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মানবাধিকার দিবস-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনএইচআরসিবি এর পূর্ণকালীন সদস্য মো. নজরুল ইসলাম।
আইনমন্ত্রী বলেন, “৫৭ ধারায় পরিবর্তন এনে নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হচ্ছে। ২০০৬ সালে তথ্য প্রযুক্তি আইনটি করা হয় মূলত ‘ইলেকট্রনিক সিগনেচার’কে বৈধতা দেওয়ার জন্য এটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়। পরে ২০১৩ সালে এতে কিছু সংশোধনী এনে ৫৭ ধারাকে সেই সংশোধনীর মধ্যে যুক্ত করা হয়।”
তিনি বলেন, আইনের এই ধারাটি মানুষের বাক স্বাধীনতা খর্ব করাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে মনে করে ৫৭ ধারা নিয়ে সুশীল সমাজে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। আর সে জন্যই ৫৭ ধারাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন একটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হচ্ছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের (এনএইচআরসিবি) চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার এম. আমির-উল ইসলাম।