Shadow

দৌলতখানে থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় চলছে জাহাজ থেকে কালোবাজারী । 

ভোলা প্রতিনিধি ॥ দৌলতখানে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জাহাজ থেকে প্রতিনিয়ত পেট্রোল, ডিজেল, সয়াবিন তৈলসহ বিভিন্ন মালামাল কালোবাজারির মাধ্যমে কেনা-বেচা চলছেই। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘ দিন ধরে এ কালোবাজারী ব্যবসা চালিয়ে আসলেও থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থ নিচ্ছে না। বরং দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় কালোবাজারী ব্যবসা চলছে বলে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, নদীতে ভাটা-জোয়ারের সাথে সমন্বয় করে ভিবিন্ন জাহাজ দৌলতখান চৌকিঘাট পয়েন্টে নোঙর করে গভীর রাতে জাহাজ থেকে ডিজেল, পেট্রোল ও সয়াবিন তৈল শত শত ব্যরেলযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট দৌলতখান থানার সামনে দিয়ে বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবারহ করে থাকেন। চোরাকারবারী চলার সময় ওসি বজলার রহমান এর নির্দেশে একদল সহকারি পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) পাহার দিয়ে থাকেন। ব্যরেল প্রতি ২ থেকে ৩শত টাকা করে ওসি বজলার রহমানকে পুুুলিশ সদস্যরা বুঝিয়ে দেন। ওই টাকা ওসি বজলার রহমানের কাছে দিলে তিনি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের মাঝে মাসিক ২ হাজার টাকা করে বন্টন করে থাকেন। দৌলতখান থানার সামনে দিয়ে প্রতিনিয়ত কালোবাজারীর ঘটনা যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রচার ও প্রকাশিত হলে চোরাকারবারিরা নতুন কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। মাঝে মধ্যে পুলিশ লোক দেখানো দু-একটি তেলের ব্যরেল আটক করে তা আবার গোপনে ছেড়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অথচ পুলিশকে তথ্য দিলে এখন আর কালোবাজারী চলছে না বলে তারা জানান। স্থানীয়রা দৌলতখানের চোরা কারবরী সিন্ডিকেট এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে জরুরীভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন জনগণ।
ওসি বজলার রহমান জানান, মাঝে মধ্যে চোরাকারবারির খবর পেলে অভিযান চালিয়ে আটক করে মামলা করা হয়। কোন ভাবেই কালোবাজারীদের সহযোগিতার সুযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তা তিনি অস্বীকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *