Shadow

ভোলার দক্ষিণ দিঘলদীতে মামলাবাজ মন্নানের রোষানলে নিরীহ একটি পরিবার

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত: মজিবল হক সরদারের ছেলে কবির হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলায় বিপর্যস্ত ভুক্তভুগী মোঃ কবির হোসেন জানান, একই  এলাকার ওহাব আলী সরদারের ছেলে আঃ মান্নান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বেশ কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মন্নানের আপন বোন ও ভগ্নীপতির বিরুদ্ধে পর পর দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে আদালত স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে ওই দুটি মামলা খারিজ করে দেয়। পরবর্তিতে আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে মন্নান। ওই মামলাটি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার নিকট তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। ঐ কর্মকর্তা স্থানীয় ভাবে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে স্বাক্ষী প্রমান যাচাই বাচাই করে মামলার সত্যতা পায়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। কিন্তু মামলাবাজ মন্নান এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে ঐ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন আদালতে। আদালত পুনরায় মামলাটি তদন্ত করার জন্য বালিয়া বন্ধুজন জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় বিদ্যালয় কক্ষে দুই জন মেম্বার, দুজন শিক্ষক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আলোচনা শুরু করেন। এসময় বাদী মন্নানের দায়েরকৃত মামলার বিবরণ সম্পূর্ন মিথ্যা বলে বিবেচিত হলে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার উদ্যোগ নেন উপস্থিত লোকজন। কবির হোসেন আরো জানায়, মন্নানের মিথ্যা মামলায় কবির ও তার স্ত্রী জেলে থাকা অবস্থায় প্রতারণার মাধ্যমে তার স্ত্রীর নামে বাংলাবাজার রূপালী ব্যাংক একাউন্ট থেকে মন্নান এক লক্ষ টাকা উঠিয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পরে মন্নানকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে অস্বিকার করে। পরে রূপালী ব্যাংক থেকে মন্নান কর্তৃক টাকা উত্তোলনের বিষয়টির প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করেন কবির। একাদিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, মন্নান ও তার স্ত্রী স্থানীয় ভাবে মামলাবাজ প্রকৃতির লোক। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে নিয়ে ছাড়ে। এমনি একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন ঐ এলাকার মেম্বার পদে প্রতিদন্দ্বী ব্যক্তি। মন্নানের সিমাহীন অপকর্মের প্রতিবাদ করেছিলেন মেম্বার পদে প্রতিদন্দ্বী মিলন মাতাব্বর। তিনি জানান, কবির ও মন্নান আত্মীয় হওয়ার সুবাধে সমস্যা মিমাংসার উদ্যেগ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মন্নান তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। এলাকার লোকজন কেউ মন্নানের বিরুদ্ধে কথা বললেই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করে থাকে। কবির এসব ঘটনা নিয়ে বাড়াবারি না করার জন্য মন্নান বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধুমকি দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *