Shadow

মতামত

টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত নারী-পুরুষ ৫০: ৫০

টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত নারী-পুরুষ ৫০: ৫০

জাতীয়, নারী ও শিশু, প্রচ্ছদ, বিশেষ প্রকাশনা, মতামত, স্বাস্থ্য বাতায়ন
দেড় শ বছরেরও বেশি আগের ইতিহাসকেন্দ্রিক একটি দিবসকে বছরান্তে বিশেষভাবে পালন করার উদ্দেশ্য হতে পারে সেই ঘটনা-সম্পৃক্ত অর্জনকে উদ্যাপন করা অথবা ঘাটতি পূরণের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা। ১৮৫৭ সালে আমেরিকার নারী শ্রমিকদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের ইতিহাসকে স্মরণ করে ১৯১০ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৮ মার্চ নারী দিবস পালিত হয়ে আসছিল। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এখন এই দিবসটিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের একটি তাৎপর্যপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নারী-পুরুষের সমতা ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আদর্শ বাস্তবায়নে সরকার ও নাগরিক সমাজের দায়বদ্ধতা পুনর্ব্যক্ত করার অবকাশ সৃষ্টি করে ৮ মার্চ। বিগত বছরে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নারীর ক্ষমতায়ন-মানবতার উন্নয়ন’। সেই ধার...
হুমকির মুখে পারিবারিক নিরাপত্তা বাচার নিচয়াতা কোথায় ?

হুমকির মুখে পারিবারিক নিরাপত্তা বাচার নিচয়াতা কোথায় ?

গ্রাম বাংলা, প্রচ্ছদ, প্রতিবাদ, বার্তা কক্ষ, বিশেষ প্রকাশনা, মতামত, মানবাধিকার, লাইফ স্টাইল, সম্পাদকীয়, সারাদেশ, স্থানীয় সংবাদ
চাঞ্চল্যকর চার শিশুর হত্যার ঘটনার রেশ এখনও শেষ হয় নাই। কিন্তু শিশুর প্রতি সহিংসতা চলমান রহিয়াছে, পারিবারিক সম্পর্কের দৃঢ়তার ধারণা আজ ভঙ্গুর হইয়া পড়িয়াছে। শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে স্বামীর ধরাইয়া দেওয়া আগুনে স্ত্রীর মৃত্যু হইয়াছে। বৃহস্পতিবার পিরোজপুরের কাউখালিতে নারীর পায়ের রগ কর্তন করিয়াছে দুর্বৃত্তরা, ঘটনাদৃষ্টে মনে হইতেছে বিবাহ বিচ্ছেদের জের হিসাবে সাবেক স্বামীই এই কাণ্ড করিয়াছে। ইহার পূর্বে ডিসেম্বর মাসে নীল ফামারীর এক মা দুই শিশুকন্যাকে হত্যা করিয়া নিজেও আত্মহত্যা  করিয়াছেন। পহেলা ফেব্রুয়ারি সকালে রমনার বেইলি রোডের একটি বাসার চারতলা থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতককে ফেলে দেয় শিশুটির গৃহকর্মী মাতা, ২৪ দিন লড়াই করিয়া সেও মৃত্যুবরণ করিয়াছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর শহরের এক শিশুকে পানির সঙ্গে ইঁদুরের ওষুধ খাওয়াইয়া নিজেও আত্ম হননের পথ বাছিয়া লইয়াছেন। একটি হিসাব অনুযায়ী গত চার বছরে ১ হাজার ৮৫ জন শিশু হত...
রীমার অকালে চলে যাওয়া

রীমার অকালে চলে যাওয়া

নারী ও শিশু, প্রচ্ছদ, বিশেষ প্রকাশনা, মতামত, মানবাধিকার, সারাদেশ, স্বাস্থ্য বাতায়ন
বড় আব্বু আমার কবরের পাড়ে দাঁড়িয়ে কান্না করছেন? নাহ্ কান্না নয়, দোয়া চাই। এখন কবরে পৃথিবীর আলো-বাতাস থেকে মুক্ত হয়ে খোলা মাঠে আমি খেলা করছি। খেলা থামিয়ে তোমার কান্নার শব্দ শুনে আবার কবরে এসে শুয়ে পড়লাম। পৃথিবী আমাকে বাঁচতে দিল না। কী প্রয়োজন ছিল এই বিয়ের? আমি তো ভালো ছাত্রী ছিলাম। তোমার ইচ্ছা পূরণ করে মাস্টার্সে ভালো ফল বয়ে এনে শিক্ষকতা করে তোমাদের মুখ উজ্জ্বল করার বাসনা আমার পূর্ণ হল না। পৃথিবী এত স্বার্থপর যে, সব মানুষের আশা এখানে পূর্ণ হতে দেয় না। একটা না একটা বাধা নেমে আসে। আমি তো মা-বাবার কাছে বিয়ের কথা বলিনি। কেন আমাকে বিয়ে দেয়া হল? তাও একজন বিদেশরত ছেলের সঙ্গে। না পেলাম স্বামীর সুখ, না পূরণ হল মনের আশা। মানুষের মনে অনেক সুপ্ত বাসনা থাকে। আমারও ছিল, কাউকে ব্যক্ত করিনি। থাক আজকেও তোমার কাছে ব্যক্ত করলাম না। পরকালে দেখা হলে একদিন খুলে বলব। মেয়েরা যখন গর্ভবতী হয় তখন কত সমস্যা থাকে, সব ...
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় ঐক্যের বিকল্প নেই

সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় ঐক্যের বিকল্প নেই

চট্টগ্রাম, প্রচ্ছদ, মতামত, মিডিয়া, শিরোনাম, স্থানীয় সংবাদ
শহীদ উল আলম  :: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাংবাদিকদের রেজিস্টার্ড সংগঠনগুলিকে নিয়ে গঠিত একটি বৈধ ফেডারেশন। এই সংগঠনের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব কে জি মুস্তফা এবং আহবায়ক শ্রী নির্মল সেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত নির্বাচিত সভাপতি শ্রী নির্মল সেন আর মহাসচিব ছিলেন জনাব গিয়াস কামাল চৌধুরী (বর্তমানে তাঁরা সবাই প্রয়াত)। চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের দুর্দিনে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম ছুটে আসতেন এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নকে সাথে নিয়ে সমস্যাসমূহ সমাধান করতেন। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে অতীতে একাধিকবার বিভাজন সৃষ্টি হয়েছিল। এ রকম একটি সময়ে, সম্ভবত ১৯৭৮-৮০ সালে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন শ্রদ্ধাভাজন আহমেদ হুমায়ুন (বর্তমানে প্রয়াত) এবং মহাসচিব ছিলেন শ্রদ্ধেয় রিয়াজ উদ্দিন আহমদ।...
শুভবোধের উদয় হোক

শুভবোধের উদয় হোক

গ্রাম বাংলা, পাঠক প্রতিক্রিয়া, প্রচ্ছদ, মতামত, শিক্ষাঙ্গন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নতুন করে নিশ্চয় কারও কাছে পরিচিত করতে হবে না। এই বাংলাদেশ যেখানে আজ আমরা দাঁড়িয়ে নিজেকে বড় নেতা ভাবি, যে মাটিতে দাঁড়িয়ে আমরা কথা বলি, সরকার-বিরোধী আন্দোলন করি, সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী আন্দোলন করি তার কিছুই হতো না যদি না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষকগণ তা না চাইতেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়তে আসেন তাদেরকে সমাজের অনেক মেধাবী, এগিয়ে থাকা এবং কোনও কোনও অর্থে ভাগ্যবান মনে করা হয়। ধরেই নেওয়া হয় সেখানে শিক্ষার্থী যারা পড়াশুনা করেন তারা হচ্ছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যত নেতা বা দিকপ্রদর্শক। ইতিহাস অন্তত তাই বলে। হতে পারে কালের বিবর্তনে তার চেহারা কিছুটা বিবর্ণ হয়ে গেছে, তাই বলে কি সবকিছু শেষ হয়েছে? এসব কথা বলার একটাই কারণ। সাময়িককালে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি দেখিনি, রাজনৈতিক কোনও আন্দোলন দেখিনি। হ্যাঁ, কিছু প...
আত্মঘাতী সমাজ কেন ?

আত্মঘাতী সমাজ কেন ?

ইনভেস্টিগেশন ২৪ ঘণ্টা, গ্রাম বাংলা, প্রচ্ছদ, প্রয়াস পরিবার, মতামত, মানবাধিকার, শোক বার্তা, সারাদেশ
আড্ডার সকল ভেন্যুতে আলোচনার বিষয়- রামপুরায় মায়ের হাতে দুই শিশু হত্যা। সত্যিই মা দুই শিশুকে নিজ হাতে হত্যা করেছেন কিনা, তা এখনও প্রমাণিত হয়নি আদালতে। বৃহস্পতিবার রাতে মায়ের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে বাবা’র দায়ের করা মামলার আগেই র‌্যাব থেকে দাবি করা হয়েছে, মা মাহফুজা মালেক জেসমিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন তিনিই নিজ হাতে মেয়ে অরনী ও ছেলে আলভিকে হত্যা করেছেন। আদালতে হাজির করার আগে যদিও এধরনের স্বীকারমূলক জবানবন্দির আইনগত ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবুও র‌্যাবের পক্ষ থেকে প্রথমে কারণ হিসেবে পরকীয়া যুক্ত থাকলেও পরে তা চ্যুত করা হয়। বলা হয় সন্তানদের শিক্ষা জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দীর্ঘ দিন। নিজেও উচ্চশিক্ষিত, কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। সন্তানরা ভালো স্কুলে পড়তেন, তারপরেও কেন তিনি সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন। রহস্য আরও দানা বাধে যখন ছেলে-মেয়ের মরদেহ মর্গে...
একরোখা শিশু সামলাবেন কীভাবে ?

একরোখা শিশু সামলাবেন কীভাবে ?

অন্যান্য সংবাদ, প্রচ্ছদ, প্রয়াস পরিবার, প্রেরণা, মতামত, মৎস ও কৃষি, লাইফ স্টাইল
নয় বছরের তমালকে (ছদ্মনাম) নিয়ে তো প্রায়ই বিপদে পড়তে হয় ওর বাবা-মায়ের। শপিং মলে গেলে কোনো কিছু কেনা তার চাই-ই চাই। আর সেটা না কিনে দিলে মাটিতে গড়াগড়ি। সবার সামনেই চিৎকার, কান্নাকাটি—সে এক হুলুস্থুল অবস্থা। আদর দিয়ে, ধমক দিয়ে, বুঝিয়ে—নানাভাবেই চেষ্টা করে দেখেছেন, কোনোভাবেই তমালকে বোঝানো যায় না। ফলে চাহিদামতো জিনিস তাকে কিনে না দিয়ে কোনো উপায়ও থাকে না। অপর দিকে ছয় বছরের ছোট্ট মিথিলা (ছদ্মনাম) খুব মিষ্টি হলেও খাওয়া, পড়া সবকিছুতেই তার জেদ ধরা চাই। একবার না বললে কোনোভাবেই যেন সেটা হ্যাঁ হবে না। মনোবিজ্ঞানে কিছু শিশুকে বলা হয় ‘সহজে মানানো যায় না এমন শিশু’ বা ‘ডিফিকাল্ট চাইল্ড’। ১০ শতাংশ শিশু এমন হয়ে থাকে। এ ধরনের বাচ্চারা অল্পতেই উত্তেজিত হয়। একরোখা হয়। সহজে কথা শোনে না বা সন্তুষ্ট হয় না। মনোবিজ্ঞানী চেস ও থমাসের মতে, ৪০ শতাংশ শিশুকে বলা হয় ‘সহজে মানানো যায় এমন শিশু’। যাদের খাওয়া, ঘুম, বাথরুম ই...